সকল মেনু

শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের পাশেই – ওবায়দুল কাদের

হটনিউজ ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য ওপার বাংলার মানুষের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ চাইলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা সরকার জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করছেন। জঙ্গীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর বিএনপি-জামাতের আমলে বাংলাদেশ কার্যত জঙ্গীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছিল।সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে গতকাল সোমবার রাতে প্রথম কলকাতা সফরে যান ওবায়দুল কাদের। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বললেন, ‘‘আমাদের সরকারের আমলে দু’দেশের সুসম্পর্ক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গীদের বাংলাদেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করেছেন শেখ হাসিনা। নিরাপত্তা নিয়ে দু’দেশ যেভাবে বোঝাপড়া করে এগোচ্ছে, তাতে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষই লাভবান হচ্ছে।’’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “আগের সরকার বাংলাদেশের যে ‘জঙ্গী-প্রবণ’ ভাবমূর্তি তৈরি করেছিল, তা থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের সড়কে এগিয়ে চলেছে। পদ্মা সেতু হচ্ছে, ঢাকায় মেট্রো রেল তৈরি হচ্ছে, রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এখন হাজার হাজার মানুষ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “একমাত্র এই সরকারের আমলেই বাংলাদেশে এই শান্তির বাতাবরণ বজায় থাকতে পারে। তাই প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের শুভেচ্ছা পেতেই পারেন। ভারতের সেনাবাহিনী ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও ত্যাগস্বীকারে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। আজ ৮ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ নুন-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারলে তারাও খেয়ে পরে থাকতে পারবেন। আর একাত্তরে তো পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা এক কোটির বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ!” নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ২০১৪ সালে ভোট বর্জন করেছিল বিএনপি ও তার সঙ্গী জামাত ইসলামী। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘বিএনপিকে ভোটের পথে আসতেই হবে। কারণ বাংলাদেশের সংসদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথা বাতিল করার পরে কোনও অনির্বাচিত সরকারের হাতে আর ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই বিএনপি’র দাবি মানা সম্ভব নয়।”

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘‘ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া বিশ্বের সর্বত্র নির্বাচিত সরকারকে রেখেই ভোট হয়। বাংলাদেশেও তা-ই হবে।’’

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধরা সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন একমাত্র আওয়ামী লীগের আমলেই হয়েছে। আমি নই, তথ্য বলছে একথা। সংখ্যালঘুরা হাসিনা সরকারকে নিজেদের সরকার বলে মনে করেন। তারপরেও সরকারকে হেয় করতে বিভিন্ন শক্তি সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার কিছু ঘটনা ঘটায়। সরকার প্রতিবার নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছে।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘‘এবার ৩০ হাজার ৭৭টি দুর্গাপূজা হয়েছে বাংলাদেশে। গত বছরের থেকে ২৩০টি বেশি। আর পূজায় আনন্দ ভাগ করে নিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ গিয়েছিলেন বাংলাদেশে!’’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top