সকল মেনু

হটনিউজ ডেস্ক : অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বিক্ষোভকারীদেরকে আটকে নতুন কৌশল নিয়েছে ইসরাইলের সেনা, পুলিশ ও গুপ্তচর সংস্থার লোকজন। তারা ফিলিস্তিনিদের মতো মাথায় ও মুখে রুমাল বেধে বিক্ষোভকারীদের মাঝে ঢুকে পড়ছে এবং তাদেরকে নির্যাতন ও আটক করছে।

বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আটক ব্যক্তিদের নিয়ে যাচ্ছে তারা। এসময় ফিলিস্তিনিরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে পিস্তল কিংবা রিভলবার দেখিয়ে গুলির হুমকি দেয়া হচ্ছে।

ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট, টেলিগ্রাফ, গার্ডিয়ান এবং ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।

বিক্ষোভ শুরুর আগেই ফিলিস্তিনিদের মাঝে এসব গুপ্তচর ও পুলিশের লোক ছদ্মবেশে ঢুকে পড়ছে এবং তাদের হাতে থাকছে ফিলিস্তিনের পতাকা। যখনই ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ইসরাইলি পুলিশ ও সেনাদের সংঘর্ষ শুরু হচ্ছে তখন ছদ্মবেশীরা ইট-পাথর নিক্ষেপকারী ফিলিস্তিনিদেরকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনিদের আটকে ইসরাইলের ‘নতুন কৌশল’!

বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরাইলের পুলিশ বহিনী। এ নিয়ে তারা এক টুইটার পোস্টে জানিয়েছে, “ছদ্মবেশে ইসরাইলের সীমান্তরক্ষী পুলিশ পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহর থেকে তিন ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে।”

বুধবার ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত রামাল্লা শহরের নিকটবর্তী ইহুদি বসতি বেইত আল’র কাছে অনুপ্রবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমনের এই ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের রোষের মুখে পড়েন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকচিত্রী মোহামদ তোরোকমান।

প্রায় দুই দশক ধরে ওই এলাকায় সংঘর্ষের খবর সংগ্রহে নিয়োজিত তোরোকমান ওই পরিস্থিতিকে ‘ভয়ানক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তার দিকে বন্দুক তাক করা হয় জানিয়ে এই আলোকচিত্রী সাংবাদিক বলেন, “তারা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে নিশানা করায় চরম ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল।”
তোরোমান বলেন, “ছদ্মবেশী সৈন্যরা ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের চেহার নিয়ে পাথর নিক্ষেপকারীদের পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

“হঠাৎ তারা পিস্তল দিয়ে ফাঁকা গুলিবর্ষণ শুরু করেন, একই সময় ব্যবহার করা হয় সাউন্ড গ্রেনেড।”

গ্রেনেডের শব্দ ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।


ছদ্মবেশধারী আটজন ইসরায়েলি সৈন্যকে দেখতে পান তোরোকমান। অস্ত্র ব্যবহার করে তারা যখন ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের পাকড়াও করেন, সেই সময়ের ছবি তুলতে গেলে পিস্তল তাক করানো হয় তোরোকমানের দিকে।

তিনি বলেন, “উনি আমার প্রতি চিল্লাচিল্লি করেন এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য আমি দ্রুত সেখান থেকে চলে আসি।”

এরপর ইসরায়েলি সৈন্যরা এগিয়ে এলে অন্য বিক্ষোভকারীরাও সেখান থেকে সটকে পড়েন। পরে নিরাপদ স্থানে গিয়ে ঘটনার ছবি তোলেন তোরোকমান।

মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনা ঘটে যায় বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top