সকল মেনু

বকশীগঞ্জে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দুর্নীতির আখড়া

courruption-220x118জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু:জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সাব-রেজিষ্ট্রার খন্দকার মেহবেবুল ইসলাম এর একক স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতারা । তিনি বকশীগঞ্জে যোগদানের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তিনি অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে চলেছেন। ওই সাব-রেজিষ্ট্রার প্রতিটি কর্ম দিবসে ব্যস্ত থাকে উৎকোচ নেয়ার জন্য। একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, তিনি একটি দলিল সম্পাদন করতে সরকারি ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। সাফ কবলা দলিলে অতিরিক্ত ২ হাজার টাকা ,হেবা দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন। এখানে জমি রেজিষ্ট্রি করতে এসে সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়।এছাড়াও ষ্ট্যাম্প,রেজিঃ ফি,স্থানীয় সরকার ফি ,উৎস কর,আয়কর ভ্যাট,এন ফি,আর ফি তল্লাশি ও নকল থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। টাকা না দিলে সীমাহীন হয়রানির শিকার হতে হয় ভুক্তভোগীদের। অতিরিক্ত টাকা না দিলে কোন কাজই হয় না এ অফিসে । বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে সাব-রেজিষ্ট্রার নেন ৭০%, দলিল লেখক সমিতি নেন ২০%,অন্যান্যরা নেন ১০% টাকা। প্রতিটি দলিল পার করতে সাব-রেজিষ্ট্রারকে ঘুষ ছাড়াও দলিল লেখক সমিতিকেও ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ঘুষ না দিলে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দলিল সম্পাদন করা বন্ধ করে দেন। ঘুষ বাণিজ্যের ফলে প্রতি মাসে এ অফিস ২০ লাখ টাকার ভাগ বাটোয়ারা করা হয়। একটি সরেজমিনে তদন্ত হলেই এর আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। বেড়িয়ে আসবে খন্দকার মেহবেবুল ইসলামের ঘুষ বাণিজ্যের প্রকৃত রহস্য। সাধারণ মানুষ যাতে প্রতারণার শিকার হতে না পারে সেজন্য ওই দুর্নীতিবাজ সাব-রেজিষ্ট্রার এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এর বিরুদ্ধে জাতীয় দিবসেও হাজির না থাকার অভিযোগ আছে। এ নিয়ে বিভিন্নকর্মকর্তাদের মধ্যেও নানা সমালোচনা আছে। তিনি নিজেকে একজন দুর্দোন্ড প্রতাপশালী সাব-রেজিষ্ট্রার মনে করেন। তিনি ইতোমধ্যে কয়েকজন দলিল লেখককে বহিষ্কার করে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top