সকল মেনু

কক্সবাজারে বাতিল হচ্ছে হোটেলের বুকিং

Cox-0520130805042532হটনিউজ২৪বিডি.কম,নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা, ৫ আগষ্ট: রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার ছিল পর্যটকশূণ্য। বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা ছিল, এবার ঈদের ছুটিতে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে ব্যাপক পর্যটক সমাগম হবে।
গতবারের ক্ষতি তারা কিছুটা পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু ঈদের পরপরই জামায়াত দু দিনের হরতাল ডাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা চরমভাবে হতাশ। হরতালের খবর জানার পর পর্যটকরা ব্যাপকহারে হোটেলের বুকিং বাতিল করে দিচ্ছেন।
ঈদ বর্ষাকালে হওয়ায় এমনিতেই কক্সবাজারে পর্যটন ব্যবসায়ীদের কাছে এটি ‘ক্ষণিকের মৌসুম’। তারপরও হোটেলের বুকিং বাতিল হতে থাকায় ব্যবসায়ীদের ক্ষণিকের আশাও উড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাঁরা হরতাল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ, রেস্তোরাঁ ও পর্যটন স্পটগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে। দেশের প্রধান এই পর্যটন শহরের ছোট-বড় চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজের অধিকাংশ কক্ষই আগাম বুকিং হয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু ঈদের পর হরতাল ডাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ঈদের পর অন্তত ১৫ দিন হরতালের মতো সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন বারবার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজ, অ্যাপার্টমেন্ট ও রেস্ট হাউসগুলোতে সংস্কার, ধোয়ামুছা ও শেষ মুহূর্তে চুনকাম চলছে।
পর্যটকদের মনোমুগ্ধকর সেবা নিশ্চিত করতে এসব কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক শফিকুর রহমান কোম্পানি জানান, ঈদের পর ১০ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় আবাসিক হোটেলেই ৫০-৬০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, বুকিং এখন বাতিল করতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। এটা বড় চিন্তার বিষয়। এতে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবে।
শহরের কলাতলীর প্রিন্স রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী সুরত আলম জানিয়েছেন, তাঁর হোটেলের সব কক্ষই ঈদের পর থেকে তিন দিনের জন্য অগ্রিম বুকিং হয়ে গেলেও হরতালের কারণে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এতে তার বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
পাঁচতারা হোটেল সি-গালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুমি সিদ্দিকী জানান, ঈদের পরদিন থেকে টানা ১০ দিন পর্যন্ত তাঁদের ১৭৯টি কক্ষের ৮০ শতাংশই অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু জামায়াতের হরতাল আহ্বানের পর এরই মধ্যে ২০ ভাগ বুকিং বাতিল করা হয়েছে। বুকিং বাতিলের ঘটনা ঘটছে অন্যসব হোটেলের ক্ষেত্রেও।
কক্সবাজার জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতাউস সামাদ চৌধুরী টিটু বলেন, কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ পর্যটনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
দুই বছর ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে পর্যটন ব্যবসায় চরম মন্দা গেছে। শতাধিক রেস্তোরাঁ ও হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। ৩০ হাজারেরও বেশি কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। এবারও যদি তাই হয়- তা’হলে কক্সবাজারের পর্যটন সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top