সকল মেনু

ট্রাম্প জেরুজালেম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি : কুশনার

বিদেশ ডেস্ক: জেরুজালেম নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউসের সিনিয়র পরামর্শক জ্যারেড কুশনার। তিনি বলেন, তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও চিন্তাভাবনা করছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিম; তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থস্থান জেরুজালেম। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায় চলতি মাসের ৬ তারিখেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপন করতে পারেন। নির্দিষ্ট ওই দিনটিতেই ট্রাম্পের পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হবে কিনা, তবে আল জাজিরার সোমবারের প্রতিবেদনে তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ট্রাম্পের জামাতা বলেন, ‘ট্রাম্প যখন সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন, তখন নিজে থেকেই তা ঘোষণা করবেন। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখনও বিকল্প চিন্তা করছেন।’

নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে নেবেন। তবে এখনও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি তিনি। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি পাবে। ট্রাম্পের পদক্ষেপ রুখতেই আরব লীগ আর ওআইসিকে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। রয়টার্স শীর্ষ একজন মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ট্রাম্পের পদক্ষেপ ঠেকাতেই বৈঠক আয়োজনে তৎপর হয়েছে জর্ডান।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে দূতাবাস সরানোর প্রক্রিয়া আরও দেরী হতে পারে। তবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে ঘোষণা দিতে পারে তারা। সেক্ষেত্রে অনেক দিনের মার্কিন নীতি থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র।

অনেকের ধারণা তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নিলে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং ফিলিস্তিনিরা অসন্তুষ্ট হবে। ১৯৮০ সালে জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করেছিল ইসরাযয়েল। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর সমর্থন দেয়নি। ফিলিস্তিনিরা চায় দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম যেন রাজধানী হয়।

এখনও কোনও দেশের দূতাবাসই জেরুজালেমে নেই। সবগুলো দূতাবাসই তেল আবিবে অবস্থিত। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন এর সাধারণ সম্পাদক সায়েব এরেকাত এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে জেরুজালেম।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে তবে সেটা আন্তর্জাতিক নৈরাজ্য ও আইনভঙ্গের সামিল হবে। শান্তি প্রক্রিয়ায় তার প্রয়াসও ব্যহত হবে।’

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক এফেয়ার্স দফতরের সাবেক সহকারী মন্ত্রী পিজে ক্রাউলি বলেন এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কারণ এটা দুই পক্ষের সমঝোতার পরিপন্থী।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে তবে এটা দেখতে হবে যে কতদিন তারা ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। আমরা জানি না, কিংবা আমার কাছে স্পষ্টও না যে হোয়াইট হাউস কেন এখনই এটা করতে চাইছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top