সকল মেনু

তেঁতুলিয়ায় সনিয়া হত্যা অভিযুক্ত রাজন ও আতিকের নামে অবশেষে মামলা নিল পুলিশ

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি :পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ৩নং কালারাম জোত গ্রামের পাথর শ্রমিক জাহেরুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী রহিমা আক্তার সোনিয়া (১৪) আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। উঠে আসে জড়িত দুই জনের নাম “রাজন ও আতিক”। পরিবারের দাবি অব্যাহত ধর্ষণ আর তা ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং ব্লাকমেইলে আত্মহত্যার জন্য অনুপ্রাণিত করায়। তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওয়ার্ড বয় ও তেঁতুলিয়া উপজেলা সদরের মোমিনপাড়া এলাকার মৃত সোলেমান আলীর ছেলে মনসুর আলম রাজন (৩২) এবং ক্ষণিয়াভিটা এলাকার বাসির উদ্দিনের ছেলে এবং তেঁতুলিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম এর ছোট ভাই তেঁতুলিয়া বাজারের বিক্যাশ এজেন্ট আতিকুর রহমান আতিক (৩৪) নামের এই দুই যুবক সোনিয়াকে অব্যাহত ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করে প্রকাশ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্লাকমেইল করেছে বলে দাবি করেন সোনিয়ার পরিবার। তবে এলাকার সচেতন মহল বলছে, একজন গরীব পাথর শ্রমিকের মেয়ে ও একটি মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে তারা কিভাবে খেলা করলো। আতিক ও রাজন তো দেশে আলোচীত বিষয় “ব্লু হোয়েল” গেমকে হার মানিয়ে দিল। তাদের ফাঁশি দেওয়া উচিৎ। সনিয়ার আত্মহত্যার পর পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গত বুধবার (১১ অক্টোবর) পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
সনিয়ার মামা ফারুক হোসেন জানান, ওই রাতেই ধর্ষণ এবং আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলেও তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেনি। গত ৪দিন পর অবশেষে (১৪ অক্টোবর) শনিবার রাজন ও আতিকের নামে মামলা নেয় পুলিশ।

মামলা নং- ৩, ধারা ৯ এর ক. তারিখ: ১৪/১০/২০১৭ উল্লেখ্য, অব্যাহত ধর্ষণ আর তা ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং ব্লাকমেইলের অপমান সইতে না পেরে গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯.১০ মিনিটে কোচিংয়ে না গিয়ে রাস্তা থেকে বাসায় ফিরে এসে আত্মহত্যা করে সোনিয়া। ঘটনার পর পরই ওই দুই ধর্ষক গা ঢাকা দিয়েছে।  মেধাবি স্কুল ছাত্রী সোনিয়ার এই মৃত্যুতে বিদ্যালয় ও ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top