সকল মেনু

বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রোডাকটিভিটি আরো বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ এখন বিশ্ব বাণিজ্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি জানান, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ব্যবসা ক্ষেত্রে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচকে ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়েছে। বাংলাদেশ আগে ছিল ১০৬তম অবস্থানে। সোমবার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে ‘টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সফলতার সাথে এসডিজি অর্জন করেছে। এমডিজিও যথাসময়ে সফলভাবে অর্জন করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি একসময় কৃষিনির্ভর ছিল। ১৯৭২-৭৩ সালে জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল প্রায় ৭৮ ভাগ। এখন তা হয়েছে ১৫ ভাগ। শিল্প খাতে অবদান ছিল খুবই সামান্য। আজ শিল্প খাতের অবদান ৩২ ভাগ। একসময় আমাদের জাতীয় বাজেট বৈদেশিক সাহোয্যের ওপর নির্ভর ছিল ৯০ ভাগ। আজ নিজের অর্থেই বাজেট ঘোষণা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, প্রোডাকটিভিটিতে বাংলাদেশের সক্ষমতা ৭০ ভাগ। এটা ৯০ ভাগ হওয়া প্রয়োজন। প্রোডাকটিভিটিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরো কাজ করতে হবে। বাণিজ্য সহজিকরণের জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে পেপারলেস ট্রেডের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনকে (এনপিও) যথাযথ দায়িত্ব পালন করে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সরকার ও রপ্তানিকারকদের বিশেষ উদ্যোগে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো গড়ে উঠছে কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি হিসেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধানের পর সর্বোচ্চ পয়েন্টের ভিত্তিতে বিশ্বের ১০টি তৈরি পোশাক ফ্যাক্টরিকে এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে। এবার ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল যে ১০টি তৈরি পোশাক কারখানাকে এলইইডি সার্টিফিকেট দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ৭টি।

‘অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে। এখন শ্রমিকরা নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। বাংলাদেশ এখন চলমান রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশকে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা দিচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বেড়েই চলছে। গত অর্থবছর পণ্য ও সেবা রপ্তানি হয়েছে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে রপ্তানির পরিমাণ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,’ বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্‌র সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- এফবিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top