সকল মেনু

নিরাপত্তা পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব: আজ ও কাল আলোচনা

হটনিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাচলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা প্রস্তাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিবেচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণের সময়ে ওই পাঁচ দফা পেশ করেন।

সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগে দু’বার আলোচনা হয়েছে। আবার আজ (নিউইয়র্ক সময় মঙ্গলবার) এবং বৃহস্পতিবার আলোচনা হবে। আমরা চাই, নিরাপত্তা পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে আলোচনা হোক।

তিনি বলেন, ‘আগের দু’দিনের মতো আজকে অনির্ধারিত এজেন্ডা হিসেবে রোহিঙ্গা ইস্যু আলোচনা হবে এবং বৃহস্পতিবার নির্ধারিত এজেন্ডা হিসেবে আলোচনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত আলোচনার আগে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের যেসব দেশের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে আছেন, তাদেরকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফ করবেন।’

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ জন স্থায়ী ও অস্থায়ী সদস্যদের মধ্যে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, সুইডেন, জাপান, মিশর ও ইটালির দূতাবাস আছে।

সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, রোহিঙ্গা ইস্যুটি ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং আমরা চাই, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সেখানে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। ’

এটি কোনও রেজ্যুলেশন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদে রেজ্যুলেশন আনার জন্য যে ধরনের পরিবেশ দরকার এখন সেটি তৈরি আছে। এখন দেখার বিষয় হলো, সেখানে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

চীন ও রাশিয়ার ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের সমর্থন ছাড়া নিরাপত্তা পরিষদে কোনও ধরনের আলোচনা হওয়া সম্ভব নয় এবং এই পরিস্থিতিতে সেখানে দু’বার আলোচনা হয়েছে, একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে এবং আরও দু’বার আলোচনা হবে। এটি থেকে চীন ও রাশিয়ার অবস্থান ধারণা করা যায়।’

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাব হলো- অবিলম্বে শর্তহীনভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর সব ধরনের সহিংসতা ও জাতিগত নিধন স্থায়ীভাবে বন্ধ; জাতিসংঘ মহাসচিবের মাধ্যমে একটি অনুসন্ধানী কমিটি গঠন; রাখাইনের সব নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের ভেতরে নিরাপদ এলাকা তৈরি; বাস্তুচ্যুত সব রোহিঙ্গা যেন নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং কফি আনান কমিশনের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ নিঃশর্তভাবে বাস্তবায়ন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি। ’

নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগস্ট মাসে প্রথম আলোচনা হয়। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের আলোচনার পর মিয়ানমার বিষয়ে ৯ বছর পরে একটি সর্বসম্মতিক্রমে বিবৃতি দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত,আগস্ট ২৫ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল। অক্টোবরের আগে থেকেই বাংলাদেশে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাস করছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top