সকল মেনু

বিদায় নিলেন চিরিরবন্দরের জনবান্ধব এসিল্যান্ড মাশফাকুর রহমান

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর চিরিরবন্দরের জনবান্ধব ভূমি অফিসের এসিল্যান্ড চিরিরবন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট বর্তমানে পদন্নোতি পাওয়া ইউএনও মো: মাশফাকুর রহমান নিজ কর্মস্থল থেকে শেষ দিনের অফিস করে বিদায় নিলেন। এর আগে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম সপ্তাহে অফিস করাকালিন তিনি ইউএনও পদে পদন্নোতি পেয়েছেন। শেষ কর্ম দিবসে ভুমি অফিসের সকল কর্মচারী ও কর্মকতাদের অশ্রুশিক্ত ভালোবাসায় বিদায় নেন তিনি।

এ সময় সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট মো: মাশফাকুর রহমান বলেন, আজকের এ মুহুর্তকে আমি বিদায় বলছিনা,আমি আছি। আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছি। যথা সাধ্য চেষ্টা করেছি সরকারের অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার। মানুষ তার কর্মের মধ্যে দিয়ে চিরজীবন বেঁচে থাকে, আমিও আমার কর্ম দিয়ে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। পাশাপাশি ভুমি অফিসের সেবা মানুষের দৌড় গোড়ায় নির্বিঘ্নে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। সকলে যাতে ভুমি অফিসের সেবা শতভাগ পায় তার প্রচেষ্টা করেছি। এসব কর্ম বাস্তবায়ন করতে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় ছিল আমার প্রেরনা।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে ০১ আগষ্ট নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রট মাশফাকুর রহমান এসিল্যান্ড হিসাবে চিরিরবন্দর (ভুমি) অফিসে যোগদান করেন। তারপর থেকেই ভুমি সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। গড়ে তোলেন অফিসের সামনে খালি জায়গায় ভুমি গ্রহীতাদের জন্য বসার সেবাকুঞ্জ ওয়েটিংরুম । দালাল মুক্ত ভুমি অফিস গঠনের লক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন তিনি। জনসচেতনার জন্য বিভিন্ন সেবা সংক্রান্ত নিয়মাবালীর লিফলেট বিতরন, অভিযোগ বক্স, হেল্প ডেস্কসহ নানা প্রকল্প চালু করেন। সেবার মান বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তাদের নিদের্শ দেন। কর্মকতারাও তার কর্মকান্ডের সাথে একাত্ত্বতা প্রকাশ করেন। সিসি ক্যামারার আওতায় আনা হয় পুরো এসিল্যান্ড অফিস। ব্রিটিশ আমলের রুমওয়াল ও বান্ডরি ওয়াল সংস্কারের মাধ্যমে চকচকে করেন।

এছাড়া প্রতিটি তহশিল অফিসে আধুনিকরণ পরিবর্তন আনেন তিনি পরিকল্পিত ভাবে। সেখানেও জনগনের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করেন তিনি। মুল অফিসের মতো এ অফিসগুলোতেও জনসচেতনার জন্য বিভিন্ন সেবা সংক্রান্ত নিয়মাবালীর হেল্প ডেস্ক চালু করেন তিনি। জনগনের দূর্ভোগ লাঘব করতে, ঘরে বসে ভুমি অফিসের সেবা পেতে এসিল্যান্ড সেখানে নিজস্ব সফটওয়্যার দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জমির মালিকানা নিশ্চিত করান। এখান থেকে গ্রাহকরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করতে পারছেন।

বর্তমানে চিরিরবন্দর ভুমি অফিস ভুমি গ্রাহীতাদের কাছে জনবান্ধবে পরিনিত হয়। তবে কিছু কু-চক্র মহল নিজের সার্থসিধি হাসিল করতে না পারায় এসিল্যান্ডের এই সফলতাকে ঈষানিত চোখে দেখে নানা বননাম ছড়াছে। স্থানীয় সচেতন অনেকে জানায়, ভালো কাজে এমন ভীত সৃষ্টি করা টিক নয়। আমরা এর নিন্দা প্রকাশ করি। এদিকে চিরিরবন্দর এসিল্যান্ড এর সাথে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি,পার্বতীপুর উপজেলার এসিল্যান্ডে সহ মোট তিন এসিল্যান্ডের পদোন্নতি হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top