সকল মেনু

ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজের বাম্পার সেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুয়ারে ঈদ। কোরবানির ঈদ। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। আর এই ঈদে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা মানেই ফ্রিজ। কোরবানির গোশত সংরক্ষনের জন্য এসময় ব্যাপক পরিমানে বিক্রি হয় ডিপ ফ্রিজ। তবে ডিপ এবং সাধারণ অংশ সমান বলে ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ ওয়ালটন। সারা দেশে ওয়ালটন শোরুমগুলোতে চলছে ফ্রিজ বিক্রির ধূম। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের আগে বৃহস্পতি এবং শুক্রবার হবে বাম্পার সেল।
বাম্পার সেল কীভাবে? এ বিষয়ে ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, এবার মাসের শুরুতে ঈদ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে বেতন-বোনাস পাচ্ছেন চাকুরিজীবীরা। মানুষজন ঈদের ছুটিও পাচ্ছেন কম। গ্রামের বাড়ি পৌঁছতে অনেকেরই শুক্রবার হয়ে যাবে। ঈদের আগে ছুটিও ওই একদিন- শুক্রবার। যে কারণে বৃহস্পতি এবং শুক্র এই দুদিন শোরুমগুলোতে থাকবে উপচেপড়া ভিড়। বিক্রি হবে বাম্পার। এমনকি ঈদের দিন সকালেও বিক্রি হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওয়ালটনের সেরকম প্রস্তুতিও রয়েছে। তার মতে, নি¤œ এবং মধ্যবিত্ত অনেকেরই দুটি ফ্রিজ কেনার সামর্থ্য নেই। এজন্য আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ না কিনে বড় ডিপযুক্ত ওয়ালটন ফ্রিজ কেনাই লাভজনক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বগুড়া, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আশাতীত বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ।
ওয়ালটনের বিক্রয় প্রতিনিধি ও পরিবেশকরা জানিয়েছেন, মার্চ মাস থেকে বৃষ্টি এবং সাম্প্রতিক বন্যায় ফ্রিজ বিক্রিতে মন্দাভাব ছিলো। কিন্তু চলতি মাসের প্রথম দিনে এক লক্ষাধিক ফ্রিজ বিক্রি করেছে ওয়ালটন। ঈদের আগে বিক্রি হচ্ছে ব্যাপকহারে। এবার ঈদুল আযহাতে ওয়ালটনের টার্গেট ৫ লক্ষ ফ্রিজ বিক্রির। ধারণা করা হচ্ছে ঈদ শেষে ছাড়িয়ে যাবে লক্ষ্যমাত্রা। ওয়ালটন ফ্রিজের এই ব্যাপক চাহিদার পেছনে কাজ করছে বেশ কিছু বিষয়। এরমধ্যে রয়েছে সাশ্রয়ী মূল্য, গুনগত উচ্চমান, ব্যাপক বিদ্যুত সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা। সেই সঙ্গে ঈদ উপলক্ষ্যে দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।


ওয়ালটনের চট্টগ্রাম পশ্চিম জোনের এরিয়া ম্যানেজার ইমরুজ হায়দার খান জানান, বন্দর নগরীতে গ্রাহক পছন্দের শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ। গ্রাহকদের দৃষ্টি কাড়ছে বাজারে আসা নতুন মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ও রূচিশীল ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর। তবে ঈদকে ঘিরে ডিপ ফ্রিজের বিক্রিও বেশ ভালো। তিনি আরো জানান, চলতি সপ্তাহে ক্রেতা সমাগম ব্যাপক বেড়েছে। তারপরও গ্রাহকদের ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছেন তারা। সবার চাহিদাই পূরণ করছি। এতে করে, শেষ মুহূর্তে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে। আশা করছি- গত কোরবানির তুলনায় এবার ৩০ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হবে।
সিলেট উত্তর জোনের এরিয়া ম্যানেজার মাকসুদ আলম বলেন, শেষ সপ্তাহে বাম্পার বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। শোরুমগুলোতে প্রতিদিনই ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। এই জোনে চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ৮ শতাধিক ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই রকম কথা বললেন সিলেট পশ্চিম জোনের এরিয়া ম্যানেজার মো. নূরে আলম খান। তিনি জানান, ১৩০ লিটার থেকে ৩০০ লিটারের ছোট ও মাঝারি সাইজের ফ্রিজগুলো বেশি চলছে। বিশেষ করে বড় ডিপযুক্ত ফ্রিজ বিক্রি হচ্ছে বেশি। এসব ফ্রিজের নরমাল অংশের প্রায় সমান ডিপ অংশ থাকায় আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কিনতে হয়না। এছাড়া, মধ্যম আয়ের বেশিরভাগ গ্রাহকই বেছে নিচ্ছেন রূচিশীল ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ফ্রস্ট ফ্রিজ। আর উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরা কিনছেন ওয়ালটনের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ।
রংপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার আনামুল হক জানান, উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মাসের শুরুর দিকে ক্রেতা সমাগম একটু কম ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চলতি সপ্তাহের প্রতিদিনই শোরুমগুলোতে ক্রেতা ভিড় বাড়ছে। ফ্রিজের বিক্রিও কয়েকগুণ বেড়েছে।
খুলনা জোনের এরিয়া ম্যানেজার এ কে এম আসাদুজ্জামান জানান, শেষ মুহূর্তে খুলনার মার্কেট জমে উঠেছে। ইতোমধ্যে, গত কোরবানির বিক্রিকে ছাড়িয়ে গেছে। সারা দেশের মতো একই চিত্র রাজধানীতেও। দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বৃহত্তম বাজার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আবাবিল ইলেট্রনিক্স এর কর্ণধার মোহাম্মদ সোহেল জানান, বাজারে চাঙ্গাভাব ফিরে এসেছে। তারমতে, ওই মার্কেটে বিক্রয় হওয়া প্রতি ১০০টি ফ্রিজের মধ্যে ৯০টি ফ্রিজই ওয়ালটনের।
ওয়ালটন বিপণন বিভাগের প্রধান মো. এমদাদুল হক সরকারের জানান, এবারের কোরবানি ঈদে গতবারের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি অর্থাৎ ৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট ছিলো। এরইমধ্যে ৪ লক্ষাধিক ফ্রিজ বিক্রি হয়ে গেছে। ঈদ শেষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তার ধারণা।
উল্লেখ্য, এনার্জি রেটিং এ ওয়ালটন ফ্রিজ পেয়েছে বিএসটিআই এর ফাইভ স্টার রেটিং। ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এবং কম্প্রেসারে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটনেই রয়েছে আইএসও স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর আওতায় সারা দেশে ৭০ টি সার্ভিস সেন্টার, ৩০০টিরও বেশি ওয়ালটন প্লাজা এবং সহ¯্রাধিক পরিবেশক বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৫০০ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছেন। ফ্রিজে দেয়া হচ্ছে হোম সার্ভিসও।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top