সকল মেনু

কোরবানিতে ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট ছাড়িয়েছে মার্সেল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক’দিন পরই ঈদুল আযহা। কোরবানির ঈদ। ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। তবে এবার ঈদে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে মার্সেলের ফ্রিজ। গত বছরের ঈদুল আযহা বা আগস্ট মাসের তুলনায় এবার এরইমধ্যে ৩৭.৬৮ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি করেছে মার্সেল। ঈদ উপলক্ষ্যে ফ্রিজ, টেলিভিশন ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস ১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষের ধারণা- মাস শেষে প্রবৃদ্ধির হার ৪৫ শতাংশের বেশি হবে।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদ মানেই ফ্রিজ বিক্রির মূখ্য সময়। কেননা, সারা বছরে মোট ফ্রিজ বিক্রির প্রায় অর্ধেকই হয়ে থাকে এ সময়ে। আর কোরবানির ঈদে ফ্রিজ বিক্রির এই বাড়তি চাহিদাকে মাথায় রেখে চলতি মাসে গত আগস্টের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট ছিলো। তবে, চলতি মাসের প্রথম ২৩ দিনে এই টার্গেটকে ছাড়িয়ে প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা- চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
মার্সেল সূত্রমতে, মার্সেল ফ্রিজের ডিপ অংশ অন্যদের চেয়ে বড়। ফলে আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ না কিনলেও চলে। এছাড়া সাশ্রয়ী মূল্য, ব্যাপক বিদ্যুত সাশ্রয়ী, আইএসও স্ট্যান্ডার্ড বিক্রয়োত্তর সেবা এবং স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি বলে বাজারে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
সম্প্রতি টেম্পারড গ্লাসডোর, ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজসহ ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়ায় মার্সেল ফ্রিজের প্রতি গ্রাহকপ্রিয়তা ও আস্থা আরো বেড়েছে। যার প্রতিফলন পড়েছে বিক্রিতে। গত বছরের প্রথম সাত মাসের (জানুয়ারি থেকে জুলাই) তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে মার্সেলের ফ্রিজ বিক্রি বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কোরবানি ঈদকে ঘিরে সারা দেশে ফ্রিজের বাড়তি চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রোজার পরপরই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ঈদে গ্রাহকদের হাতে নতুন প্রযুক্তি পণ্য তুলে দিতে গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে নতুন মডেলের গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর, বিশেষ ডিজাইনে তৈরি বড় ডিপযুক্ত ফ্রস্ট ফ্রিজ, ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নন-ফ্রস্ট ফ্রিজসহ অসংখ্য নতুন প্রযুক্তি ও মডেলের ফ্রিজ।
তারা জানান, রূচিশীল গ্রাহকদের জন্য মার্সেল পণ্য সম্ভারে যুক্ত হয়েছে ৩২০ লি. ও ৩৪৮ লিটারের আকর্ষণীয় ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোর ফ্রিজ। তারা বাজারে এনেছে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ২১৭ লিটারের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, বিশেষ ডিজাইনে তৈরি বড় ডিপযুক্ত ২১৩ লিটার ও ২২০ লিটারের ফ্রস্ট ফ্রিজ এবং ৩০০ লিটারের ডিপ ফ্রিজ।
মার্সেল বিপণন বিভাগের (উত্তর) প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই সারা দেশে মার্সেল ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে আশাতীত। বিশেষ করে, গত রোজার ঈদের আগে থেকে বিক্রি কয়েকগুণ বেড়েছে। মার্সেলের বিক্রি বৃদ্ধির পেছনে তিনি বিভিন্ন যুক্তি দেখান। যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যুগোপযোগি ডিজাইন, সাশ্রয়ী মূল্য, সারা দেশে বিস্তৃত বিক্রয় ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক এবং দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা।


বিপণন বিভাগের (দক্ষিণ) আরেক প্রধান ড. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ঈদকে ঘিরে রেফ্রিজারেটর ও ডিপ ফ্রিজের বিক্রি বেশ ভালো। এরই মধ্যে টার্গেটের চেয়ে বেশি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। আবহাওয়া ভালো এবং বিক্রির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে গতবারের চেয়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রি হবে এবারের কোরবানিতে।
উল্লেখ্য, মার্সেল ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির পাশাপাশি কম্প্রেসারে সর্বোচ্চ ১০ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টির সুবিধা রয়েছে। প্রতিটি ফ্রিজ বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) কর্তৃক স্বীকৃত ও আইএসও-১৭০২৫ সনদ প্রাপ্ত ঘটঝউঅঞ-টঞঝ ল্যাব থেকে মান নিয়ন্ত্রণ করে বাজারে ছাড়া হয়। এছাড়াও, দ্রুত ও সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে মার্সেল। পাশাপাশি, দেশব্যাপী ৭০টি সার্ভিস সেন্টার ও অর্ধ-সহ¯্রাধিক সেলস পয়েন্টের মাধ্যমে বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে মার্সেল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top