সকল মেনু

আমরা সব জানি: কাদের

সরকার ফেলে দিতে চক্রান্ত চলছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই চক্রান্তের কিছু গোপন নেই। তারা সব কিছু জেনে গেছেন।

জাতীয় শোক দিবস পালন শনিবার রাজধানীতে যুবলীগের এক আলোচনায় কাদের এ কথা বলেন।

বিদেশে বসে বিএনপি সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘সব জানি আমরা। কোথায়, কারা কারা যাচ্ছে, কী আলাপ হচ্ছে; লন্ডনের খবর, দুবাইয়ের খবর, ব্যাংককের খবর, কী কী শলা-পরামর্শ হচ্ছে,কোন কোন পথ খোঁজা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য- এই সব খবর এই তথ্য প্রবাহের যুগে গোপন থাকে না। সব আমরা জানি। কারা কারা এ ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে সব খবর আমাদের কাছে আছে।’

‘বিএনপি বদলায়নি, তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়’ মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘কারণ এবার পার্টিসিবল,ক্রেডিবর, ফ্রি এবং ফেয়ার নির্বাচন হবে। ক্রেডিবল ইলেকশনে তারা জিততে পারবে না, সেটা বিএনপি জানে এ জন্যই আবারও তারা ষড়যন্ত্র করছে।’

যুবলীগের নেতাকর্মীদেরকে কাদের বলেন, ‘আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। এ অপশক্তিকে অপশক্তিকে প্রতিরোধ, প্রতিহত করতে হবে। প্রস্তুত হয়ে যান, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ংকর অবস্থা ফিরে আসবে।’

বর্তমান সংসদকে ভেঙে দিয়ে আরেকটি রায় দিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার প্রতি বিএনপি নেতা হাফিজউদ্দিন আহমেদের এমন আহ্বানকে ‘মামার বাড়ির আবদার’ বলেন কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি যে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চায়, এই আহ্বানই তার প্রমাণ।

শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। এখন প্রধান বিচারপতির কাছে আরও একটি রায় চান তিনি। হাফিজ বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে প্রধান বিচারপতি জনগণের একটি উপকার করেছেন। বর্তমান অবৈধ সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত, এমন কোনও রায় দিয়ে তিনি আরও একটি উপকার করতে পারেন।’

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হাফিজ সাহেবের মামা বাড়ির আবদার। এর পরে আবার আরেক কাঠি এগিয়ে গিয়ে বলবে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর আয়োজন করুক। হারানো ময়ূর সিংহাসন ফিরে পাওয়ার বাস্ববায়ন করলে তাদের মামা বাড়ির আবদার ষোল কলায় পূর্ণ হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে গর্তে থেকে বের হয়ে লাফালাফি করছে বিএনপি। কয়েকদিন লাফালাফি করে এখন তারা বুঝতে পেরেছে ক্ষমতার রঙিন খোয়াব আবারও কার্পূরের মত উবে গেছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বের আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এ এস এম মাকসুদ কামাল, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শহীদ সেরনিবায়াত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন চৌধুরী নিখিল, দক্ষিণের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন ইকবাল মাহমুদ বাবলু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top