সকল মেনু

শেরপুরে বেড়েই চলেছে বন্যার পানি

শেরপুরে বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গত  ২৪ ঘণ্টায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি শেরপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন।

এদিকে, পানিবৃদ্ধির ফলে শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান কজওয়ের (ডাইভারশন) ওপর দিয়ে প্রায় চার ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ফলে শেরপুর-জামালপুর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কজওয়ের পাশে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যান চলাচল বন্ধের একটি সতর্কতামূলক নোটিশও স্থাপন করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

বন্যার পানি পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরাতন ভাঙন  অংশগুলো দিয়ে প্রবলবেগে প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুরের চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। লছমনপুর ইউনিয়নেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। চরপক্ষিমারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, তার ইউনিয়নের আটটি গ্রামের সবগুলোই বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন।
বেপারীপাড়া এলাকায় শুরু হয়েছে নদীভাঙন।  কুলুরচর-বেপারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে পানিবন্দি মানুষ। নকলার উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার পানিতে জলমগ্ন হওয়ায় শেরপুর সদরের ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরে আলম মির্ধা।

শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, “বন্যায় সদরের চরাঞ্চলের ছয় ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে গত দুই দিনে বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য সাত মেট্রিকটন খয়রাতি চাল ও ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। “

জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, “বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে জেলার চার উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৫ মেট্রিকটন খয়রাতি চাল ও ও ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সদরে বন্যার পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে সদর উপজেলার চরপক্ষিমারি ইউনিয়নের ৫০০ বন্যার্ত মানুষের মাঝে পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ত্রাণসামগ্রী হিসেবে পাঁচ কেজি করে চাল, আধা কেজি ডাল ও এক কেজি করে লবণ বিতরণ করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top