সকল মেনু

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক পুলিশের আত্মহত্যা

 

 

 

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) কর্মরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কর্মকর্তা হেমায়েত সরকার আত্মহত্যা করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। ১৩ আগস্ট রবিবার (নিউইয়র্ক সময়) দুপুরে নিজ বাসার বেসমেন্ট থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। ওই সময় তার স্ত্রী ফালগুনী সুলতান এবং সাড়ে তিন বছরের ছেলে জারদিস বাসায় ছিলেন।

হেমায়েত সরকার স্ত্রী ও পুত্রসহ নিউইয়র্কের কুইন্স ভিলেজে বাস করতেন। কয়েক মাস আগে তিনি এই বাড়িটি কিনেছিলেন। ২০০৫ সালে ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে এনওয়াইপিডির অফিসার তিনি পদে যোগদান করেন।

পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছ, পুলিশ অফিসার হেমায়েত সরকার নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছেন। তিনি যখন আত্মহত্যা করেন তখন তার স্ত্রী বাসার উপরের তলায় ছিলেন।

হেমায়েত সরকারের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। ২০০২ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ব্রুকলিনের হাউজিং-২ শাখায় তিনি কর্মরত ছিলেন।

হেমায়েত সরকারের মৃত্যুর পর পুলিশ তার বাসাটি ঘিরে রেখেছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে কুইন্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পুলিশ অফিসার হেমায়েত সরকারের মৃত্যুতে সহকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় সময় সোমবার মাগরিবের নামাজের পর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে তার নামাজের জানাযা হওয়ার কথা রয়েছে। পরদিন তার মরদেহ নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

পুলিশ অফিসার হেমায়েত সরকার বাংলাদেশ সোসাইটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফার্মাসিস্ট সৈয়দ টিপু সুলতানের ভাগ্নি জামাই এবং বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কার্যকরী সদস্য খোরশেদ আলমের শ্যালক।

বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী এবং কার্যকরি সদস্য আজাদ বাকিরসহ বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ হেমায়েত সরকারের বাসভবনে যান। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top