সকল মেনু

দিনাজপুরে বন্যায় ৯ জনের মৃত্যু

দিনাজপুরে বন্যায় একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের মধ্যে সাতজনই পানিতে ডুবে মারা গেছে। তাছাড়া সাপের কামড়ে একজন এবং বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এরা হলেন বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে চুমকি (১৩), ছেলে শহিদ আলী (১০) ও সিয়াদ (৭), প্রতিবেশী সাঈদ হোসেনের ছেলে সিহাদ (৭), দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ী ঢিবিপাড়া এলাকার মেহেদী হাসান (১৫), মির্জাপুর এলাকার আবু নাইম (১৩), বিরল উপজেলার মালঝাড় এলাকার বাবলু রায়ের স্ত্রী দিপালী রায় (৩২), সদরের দরবারপুর গ্রামের মেহের আলীর ছেলে চাঁন মিয়া (৫৫) ও শহরের বালুবাড়ী এলাকার সাইফুল ইসলাম (৪৫)।

কাহারোল থানার ওসি মনসুর রহমান বলেন, রবিবার বেলা সাড়ে ৩ টায় উপজেলার ঈশ্বরগ্রাম থেকে নিজের তিন সন্তান ও প্রতিবেশী এক শিশুকে নিয়ে কলা গাছের ভেলায় চড়ে বিরল উপজেলার হাসিলা গ্রামে বাড়িতে যাচ্ছিলেন আব্দুর রহমানের স্ত্রী সোনাভান বেগম। এ সময় ভেলা উল্টে চার শিশুর মৃত্যু হয়।

এছাড়াও পানিতে ডুবে মেহেদী ও আবু নাইম (১৩), সাপের কামড়ে চাঁন মিয়া (৫৫) ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আর ঘরের মালামাল সরাতে গিয়ে পানিতে ডুবে দিপালীর মৃত্যু হয় বলে জানান তার স্বামী বাবলু রায়।

এদিকে দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পূর্নভবা নদীর পানি সন্ধ্যা ৬টায় বিপদ সীমার দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা সকালে ছিল ৭৪ সেন্টিমিটার।

ভারি বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে দিনাজপুর জেলায় শনিবার থেকে শুরু হয় বন্যা। ইতিমধ্যেই দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর সদর, বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ, খানসামা, চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুর উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পানিবন্দি ও গৃহহীন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাঁধ এলাকায়। জেলার দুই হাজার ৯৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই বানভাসী মানুষের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top