সকল মেনু

চিরিরবন্দরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি:তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে টানা বর্ষণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বিদ্যালয় মাঠ, খাল-বিল, ডোবা-নালা। ডুবে গেছে বিন্তীর্ণ ফসলের মাঠ। টানা বর্ষণের ফলে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবি মানুষ। দাম বেড়ে সবজি সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের । বুধবার (৯ আগষ্ট) সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত আজ শনিবার পর্যন্ত মুষুলধারে বর্ষণের ফলে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বৃষ্টিপাত থাকার কারণে জেলায় শ্রমজীবি মানুষ কাজে যেতে পারেনি। উপজেলার রাস্তাগুলো ফাঁকা ছিল। দোকানপাট অনেকটাই বন্ধ। শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারেনি। জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২১৬ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও ২দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার গুচ্ছগ্রাম এর ২০ টি পরিবারের বসতবাড়ি নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আশ্রয় নিয়েছে মসজিদে। ৭ নং আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের মহাদানী এলাকায় প্রায় ২শত বাড়ী পানিবন্দী হয়ে আছে। ৯ নং ভিয়াইল ইউনিয়ন বির্স্তীন এলাকা প্লাবিত হয়ে সেখানেও শতাধিক এর বেশী পরিবার দুর্বিসহ জীবন জাপন করতেছে। প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদরসহ নশরতপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা ঐ এলাকার পরিবারের লোকজন গবাদি পশুসহ আসবাবপত্র নিয়ে বিভিন্ন উচুঁ জায়গায় অবস্থান করছে। এদিকে আত্রাই, ইছামতি, বেলান, কাকড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে খাল-বিল তলিয়ে জনবসতি পূর্ন এলাকায় প্রবেস করছে ফলে প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা। ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীতে থাকা একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাঁকো গুলো। আতংকে দিন কাটাছে এই সব এলাকার মানুষ। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে নতুন করে আরও এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকে। ভ্যান চালক আবেদ আলী জানান ,দুই দিন ধরে কোন কাজ নেই। তাই আজ বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে কাজের সন্ধানে বাজারে এসেছি। অপেক্ষা করেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন কাজের সন্ধান মেলেনি। বোধহয় আজ আর কাজ মিলবে না। তাই ভাবছি কারো কাছে টাকা ধার করে বাজার করতে হবে। তা না হলে পরিবারের লোকজন না খেয়ে থাকবে। তাছাড়া টানা বর্ষনে আগুন লেগেছে কাঁচা বাজারে। মরিচ এবং পিয়াজের ঝাজ বেড়েছে আরও একদফা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সজবিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে অনেক পন্য।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: গোলাম রব্বানী জানান, আমরা বৃষ্টিপাতের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করছি। উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এলাকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমাদের অবহিত করেছে। এদের মধ্যে ভিয়েল, নশরতপুর, আউলিয়াপুকুর, গুচ্ছগ্রাম এবং আব্দুলপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ধসে গেছে অনেক কাঁচা রাস্তা। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তাদের সহযোগিতা করার নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top