সকল মেনু

আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

 

 

 

 

ভারতের আসাম রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। শনিবার আরও পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যের ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১১ লাখ বাসিন্দা। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এখনও ভারী বর্ষণ থামার কোনও লক্ষণ নেই।

আসাম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, সবমিলিয়ে রাজ্যে এ বছর বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৯ জন। এর মধ্যে শুধু গুয়াহাটিতেই মারা গিয়েছেন ৮ জন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ১১ লাখ। বিপন্ন ১৯ জেলার মধ্যে রয়েছে ধেমাজি, লক্ষ্মীপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, বারপেটা, বাকসা, চিরং, কোকড়াঝাড়, ধুবড়ি, দক্ষিণ সালমারা, গোলাঘাট, জোড়হাট, মাজুলি ও মরিগাঁও।

এখনও আসাম রাজ্যের এক হাজার ৭৫২ গ্রাম পানির নিচে রয়েছে। প্রায় এক লাখ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ভেসে গিয়েছে। ১৪টি জেলার ২৬৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৯৭ জন।

এছাড়া প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যও। রাজ্যের কোচবিহারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গোটা দেশের। জেলা শহরসহ কোচবিহার জেলার অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে। ভেঙে পড়েছে সব রেল ও সড়কপথ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহারে ২৩৩ মিলিমিটার ও জলপাইগুড়িতে ২৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। পানিতে ডুবে জলপাইগুড়িতে দুই শিশু ও কোচবিহারে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে ধসের কবলে পড়েছে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকা। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। ধসে পাহাড়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। তবে শিবিরে পর্যাপ্ত পানি ও খাবার নেই বলে অভিযোগ ‍ওঠেছে।

টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত শিলিগুড়িও। শহরের বহু এলাকায় বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। মহানন্দা নদীর পানি ওঠে এসেছে সড়কে। বিপদের আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে প্লাবিত নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন।

শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। মেঘলা আকাশ রয়েছে কলকাতা ও আশেপাশের জেলাগুলোতে। তোর্সা ও রায়ডাক নদীতে পানি বাড়তে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে ইতিমধ্যেই বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top