আশুলিয়ায় এক বাউল শিল্পীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে সাভার আশুলিয়ার ইউনিয়নের আউকপাড়া গ্রামে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আশুলিয়ার থানা পুলিশ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষণের শিকার নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এখানে এর আগে দুই জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। তাদের লাশও পাওয়া যায় এখানে।

গানের অনুষ্ঠানের কথা বলেন ওই নারী শিল্পীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আশুলিয়ার আউক পাড়া স্থানীয় শহিদুল্লাহর খামার বাড়িতে ডেকে আনা হয়। সেখানেই একটি ঘরে আটকে রেখে অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে ১০/১২ জন ব্যক্তি তাকে রাতভর গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ করা হয়।

এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার আশুলিয়া থানায় একটি গণধর্ষনের মামলা করা হয়। ঘটনার শিকার ওই নারীর পরিবার জানায়, ধর্ষণকারীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সাথে জড়িত প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল কাদির হোসেন বাক্কু ওরফে মেজো ভাইকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম আহম্মেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের সাথে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। বেলমা, আড়াগাও, আউকপাড়া বস্তি থেকে রাজ্জাকসহ চারজনকে আটক করেছে করা হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ওসি আবদুল আউয়াল বলেন, তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গণধর্ষণ করে শহিদুল্লাহ খামার বাড়ির কেয়ারটেকার আব্দুল কাদের। ধর্ষণ মামলার আসামি দেহরক্ষী রাজ্জাকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।