সকল মেনু

ফোর্বসের সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের তালিকায় বাংলাদেশের ‘ডক্টরোলা’

হটনিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের একটি প্রতিবেদনে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ‘ডক্টরোলা’। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকটি সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠান (স্টার্টআপ) নিয়ে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে উল্লিখিত ৮টি স্টার্টআপের মধ্যে জায়গা করে নেয় আমাদের দেশীয় উদ্যোগ ডক্টরোলা ডট কম। ডক্টরোলা ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাক্তারের সঙ্গে রোগীর দেখা করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।

ফোর্বসের ওই প্রতিবেদনের শুরুতে উল্লেখ করা হয়, টেকনোলজি জায়ান্ট অ্যামাজন, অ্যাপল ও গুগলসহ বিশ্বের প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠান শুরুটা করেছিল স্টার্টআপ হিসেবে। সেখান থেকেই আজ তারা আর্থিক দিক দিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে নাম লিখিয়েছে। টেক জগতে প্রতিনিয়ত নতুন সব প্রতিষ্ঠান আসছে। প্রতি বছর যাত্রা শুরু করা অসংখ্য প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র অল্প কয়েকটি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে।

তালিকায় জায়গা করে নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশি উদ্যোগ ডক্টরোলা ডট কমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আবদুল মতিন ইমন বলেন, ‘খবরটি অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। এটি একটি রিফ্লেকশন যে, আমরা ঠিক পথে যাচ্ছি, ঠিক ডিরেকশনে এগোচ্ছি। এতে করে বোঝা যায় এটাতে সম্ভাবনা কতটুকু আছে। আমরা মনে করি, এটি একটি ভেলিডেশন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওরা (ফোর্বস) মনে করেছে ডক্টরোলা পোটেনশিয়াল। ফলে আমরা মনে করছি আমাদের ধারণাটা (উদ্যোগ) ঠিক আছে।’

মোহাম্মদ আবদুল মতিন ইমন বলেন, ‘সাধারণভাবে আমাদের অনেকেরই ধারণা দেশীয় কোনও স্টার্টআপের গ্লোবাল লেভেলে জায়গা করে নেওয়া খুব কঠিন। ফলে এই তালিকাটা আমাদের পথ দেখায় যে গ্লোবাল লেভেলে জায়গা করে নেওয়া সম্ভব।’ এই জায়গা করে নেওয়া পেছনে ইনোভেটিভনেস এবং এক্সিকিউশনে একটা প্রতিফলন ফোর্বস দেখতে পেয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

একটি স্টার্টআপকে দ্রুত উন্নত করতে হলে একেবারেই নতুন এবং বাস্তবসম্মত ধারণার (উদ্যোগটি) প্রয়োজন। এতে খুব সহজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়। ফোর্বস তাদের প্রতিবেদনে এমনই কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করে। মার্কিন প্রভাবশালী এই ম্যাগাজিনটি মনে করে, দ্রুতই এই প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক উন্নতি করবে।

ওই তালিকায় থাকা ৮টি স্টার্টআপ হলো:

অ্যাথলেটিজেন: অ্যাথলেটিজেন নামের স্টার্টআপটি প্রযুক্তি দিয়ে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে। এছাড়া সুস্থ থাকার জন্য কখন কী ধরনের খাবার গ্রহণ করা উচিত, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় তারা।

লজি: লজি অ্যাপটি মূলত অ্যাপলের আই-মেসেজ দিয়ে নিয়ন্ত্রিত। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীরা অন্যান্য অ্যাপ যেমন- উবার, লিফট, ইয়েলপ, গুগল ম্যাপ ইত্যাদিতে সহজে প্রবেশ করা যায়।

হটমার্ট: হটমার্ট স্টার্টআপটি সাধারণ মানুষের জন্য ডিজিটাল পণ্যের বাজার তৈরি করে দেয়। যেমন- কেউ গ্রাফিকসের কাজ ভালো পারলে সেটা হটমার্টে বিক্রির জন্য দিতে পারে। অনেক অপেশাদার গ্রাহকও এই সুযোগ নেয় বলেই বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

কালিকো: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে রোগ হয়, সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত কাজ করছে কালিকো। এছাড়া সব মিলিয়ে জেনেটিকস, মেডিসিন, মলিকুলার বায়োলজি ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছে তারা।

ফোরেজার: ফোরেজার মূলত খাদ্য নিয়ে কাজ করে। এটা মানুষের কাছে সহজভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দেয় এবং এখান থেকে কেনা জিনিস রান্নার জন্য প্রায় তৈরি অবস্থায় থাকে।

ডক্টরোলা: ডিজিটাল উপায়ে ডাক্তারের সঙ্গে রোগীদের দেখা করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে ডক্টরোলা। দেড় বছরের মাথায় প্রতিষ্ঠানটি অনেক দূর এগিয়েছে। বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলছে মানুষের স্বাস্থ্য সেবার চাহিদা। আর এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে আরও সহজভাবে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ডক্টরোলা ডট কম।

ম্যাজিক লিপ: ভার্চুয়াল দৃশ্য তৈরিতে চমক দেখাচ্ছে ম্যাজিক লিপ। প্রতিষ্ঠানটি ডিসপ্লে প্রযুক্তিকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।

এক্সপেন্সিফাই: এক্সপেন্সিফাই দিয়ে অনেকগুলো অ্যাপকে সহজে পরিচালনা করা যায়। এতে ব্যবহারকারী ঝামেলাহীনভাবে তার কাজগুলো করতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top