সকল মেনু

ফরিদপুরের মধুখালীতে শোক দিবসের তোরণ ভাঙচুর

ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দি ও বাগাট বাজার এলাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে নির্মাণ করা দুটি তোরণ ভাঙচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা
ফরিদপুর ১ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী সিরাজুল ইসলামের পক্ষে এ তোরণ দুটি নির্মাণ করিয়েছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা আহসানউজ্জামান আজাউল। এঘটনায় স্থানীয় বঙ্গবন্ধু প্রেমীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা পরিষদের সদস্য মির্জা আহসানউজ্জামান আজাউল জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুই শ্রমিক মাঝকান্দি এলাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে তোরণ নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করছিল। এসময় স্থানীয় মোশাররফ হোসেন মুসার নেতৃত্বে তিন চারজন সেখানে উপস্থিত হয়ে তোরণ ভাংচুর করে এবং ব্যবহৃত ব্যানার ছিড়ে ফেলেন। তিনি জানান, ওই ব্যানারে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রাসেলসহ ৭৫-এ ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহতদের ছবি ছিল। এর আগে উপজেলার বাগাট বাজার এলাকায় নির্মাণ করা আরেকটি তোরণ কেবা কারা ভেঙ্গে ফেলে।

যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোশাররফ হোসেন মুসা। তিনি নিজেকে মধুখালী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুগ্ম- সম্পাদক আব্দুর রহমানের লোক দাবি করে বলেন, এলাকায় তোরন নির্মাণ করা হবে আর স্থাণীয় আওয়ামী লীগের কেউ জানবে না, এটা ঠিক না।

ওই তোরণে কাজ করতে থাকা শ্রমিক মো. রিপন শেখ জানান, কাজ শেষ পর্যায়ে যখন নেমে আসছিলাম এসময় মুসাসহ কয়েকজন লোক এসে গালাগাল করেন এবং এক পর্যায়ে তারা তোরণ ভাংচুর করে লাগানো ব্যানার টেনে ছিড়ে ফেলেন।

এ ঘটনায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয়রা। ওই এলাকার মো. জাবেদ শেখ, আবু তাহের, রাশেদা পারভীন বলেন, কারো উপর ব্যক্তিগত রাগ ক্ষোভ থাকতে পারে, কিন্তু বঙ্গবন্ধু বার তার পরিবার কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। তাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ছেঁড়া অন্যায়। সে যে দলের যত প্রভাবশালীর লোক হোক না কেন। তারা এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top