সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রী ছেলের জন্মদিনের নাম রাখার ইতিহাস বললেন

হটনিউজ ডেস্ক: ছেলের জন্মদিনের নাম রাখার ইতিহাস তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সশস্ত্র যুদ্ধ চলাকালীন ২৭ জুলাই ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ও শেখ হাসিনা দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন প্রথম পুত্রসন্তান। বৃহস্পতিবার ছিল সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৭তম জন্মদিন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এ সময় ছেলের নামকরণের ইতিহাস তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, তার পরপরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল। এর কিছুদিন পরে মা, জামাল, রেহানা, রাসেলসহ ধানমন্ডির পুরনো ১৮ নম্বরের একটি একতলা বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হলো। বন্দিখানায় ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে ফ্লোর, সেখানে আমাদের থাকতে হয়েছে।’

এসময় তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হতো না। জয়ের জন্মের সময় আমার মা হাসপাতালে যেতে চেয়েছিল, কিন্তু তাকে যেতে দেয়া হয়নি। মা যখন যেতে চেয়েছে তখন পাকিস্তানি সেনা অফিসার বলেছিল, আপনি তো নার্সও না ডাক্তারও না আপনি গিয়ে কি করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাই হোক ওই অবস্থায়ই জয়ের জন্ম হয়। জয়ের জন্মের পর বন্দিখানার মধ্যে আমরা কিছুটা হলেও সজীবতা পেয়েছিলাম বলে মা তার নাম রেখেছে সজীব।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ এর ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। বাবা বলেছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবে, আমি থাকতে পারব কিনা জানি না, দেখতে পারব কিনা জানি না। স্বাধীনতা আমরা অর্জন করবই। আমি সে ব্যবস্থার সবই করে রেখে গেছি। তোর ছেলে হবে, সে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হবে। সে ছেলে হলে তার নাম জয় রাখবি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইব, জয়ের জন্য দোয়া করবেন।

এদিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আলাদাভাবে উত্তর দিতে না পারায় আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সকলের জন্য আমার শুভকামনা।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top