সকল মেনু

দেশে উন্নত চলচ্চিত্র নির্মাণে সব সুবিধা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক : বাংলা চলচ্চিত্রে দেশের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি ধারণ করতে নির্মাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা চাই আমাদের যারা বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তারা আরও উন্নতমানের সিনেমা নির্মাণ করবেন। যা আমাদের ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি-কৃষ্টি সকল কিছু যেন ধারণ করতে পারে। দেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিকভাবে যেন আরও সুনাম অর্জন করতে পারে সে দিকে আরও বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।’

আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, চলচ্চিত্র পিছিয়ে থাকবে কেন? চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে যে যে ক্ষেত্রে সহযোগিতা দরকার তা করা হবে।’

চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ আজ সোমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেলে নির্বাচিতদের হাতে তিনি পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এর মধ্যে শিল্পীদের সহযোগিতা করার জন্য একটা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। আমি মনে করি এটা আরও বড় করে করা উচিৎ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও তথ্য মন্ত্রণালয়ে শিল্পীদের জন্য ট্রাস্ট গঠন করা আছে সব মিলিয়ে চিন্তা ভাবনা করে একটি বড় ট্রাস্ট ফান্ড করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘অনেক সময় দেখেছি জীবনসায়ান্থে এসে একজন শিল্পী এমন একটি পর্যায়ে চলে যায় চিকিৎসার অভাবে পড়ে, নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়। তখন আর তাদের কিছু করার থাকে না। আজকাল অনেক ছেলে মেয়েই তাদের বাবা মাকে দেখে না, শিল্পীর খবর আর কে নেবে! তাই এভাবে যেন কোনো শিল্পীকে কষ্টের মুখে পড়তে না হয় তারই একটা ব্যবস্থা আমি করে যেতে চাই।’
উন্নত চলচ্চিত্র নির্মাণে সব সুবিধা দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র কর্মীদের কাজের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘এই সময়ে অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে তরুণ মেধাবী নির্মাতারা অনেক ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করছে। তারা সুযোগ পেলে আরও ভালো কিছু করবে।’ চলচ্চিত্রে দেশের শিল্প সংস্কৃতি ইতিহাসের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র কর্মীদের আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে আমি নিজে সিনেমা হলের মালিকদের সাথে বসেছি। তাদের কি প্রয়োজন জানার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। হলগুলো ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া চললে। আমরা চলচ্চিত্রে অনুদানের অর্থ বাড়িয়েছি। আমরা চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছি। চলচ্চিত্র কর্মীদের সুবিধা বৃদ্ধি করেছি।’

এর আগে, তথ্য মন্ত্রণালয় গত ১৯ মে ২০১৫ সালের চলচিত্র শিল্পে ২৫টি ক্যাটাগরিতে অসামান্য অবদানের জন্য ৩১ জনের নাম ঘোষণা করে।

পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- চিত্রনায়িকা শাবানা ও সঙ্গীতজ্ঞ ফেরদৌসি রহমান। ‘বাপজানের বায়োস্কাপ’ ও ‘অনিল বাগচীর একদিন’ যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, ‘একাত্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি’ শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, মো. রিয়াজুল মওলা রিজু এবং মোরশেদুল ইসলাম যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রধান চরিত্রে শাকিব খান ও মাহফুজ আহমেদ যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও জয়া আহসান শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।

এ ছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা গাজী রাকায়েত ও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী তমা মির্জা, খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ ইরেশ যাকের, শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী যারা যারিব পুরস্কার পেয়েছেন।

শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন- প্রমিয়া রহমান, শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক সানী জুবায়ের, শ্রেষ্ঠ গায়ক যুগ্মভাবে সুবীর নন্দী ও এস আই টুটুল, শ্রেষ্ঠ গায়িকা প্রিয়াংকা গোপ, শ্রেষ্ঠ গীতিকার আমিরুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ সুরকার এস আই টুটুল, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার মাসুম রেজা, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার যুগ্মভাবে মাসুম রেজা ও মো. রিয়াজুল মওলা রিজু, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হুমায়ুন আহমেদ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক মেহেদী রনি, শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক সামুরাই মারুফ, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক রতন কুমার পাল, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা মুসকান সুমাইয়া, শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান হিসেবে শফিক।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লা সম্মানিত অতিথি হিসেবে এবং তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top