সকল মেনু

মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুলিশের-আইজিপি

হটনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) জনাব এ কে এম শহীদুল হক বিপিএম, পিপিএম বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও মাদক পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থান গ্রহণ করেছে।

আইজিপি আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন আয়োজিত “মাদকের ভয়াবহতা নিরসনে আমাদের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ নূর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজী, পরিচালক কানুতোষ মজুমদার ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিকুল আলম। সেমিনারে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন আহম্মদসহ অন্যান্য নির্বাহীবৃন্দ এবং বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের বার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও কার্যক্রম রয়েছে।

মাদকদ্রব্য উদ্ধারের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে পুলিশ, র‌্যাব, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এবং বিজিবি ও অন্যান্য সংস্থা মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করেছে ৬২ হাজার ২৬৮টি। এর মধ্যে শুধুমাত্র পুলিশ করেছে ৫৫ হাজার ৮৮৭টি মামলা। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৭৮ হাজার ২১৪ জন। তিনি বলেন, রিঅ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের পাশাপাশি প্রোঅ্যাকটিভ পুলিশিংয়ের অংশ হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

দেশব্যপী মাদকের বিরুদ্ধে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, কোন পুলিশ সদস্যের মাদক ব্যবসায়ীর সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আমরা জঙ্গিদের অবস্থান গুড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করতে পরিনি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পুলিশের একার পক্ষে সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ ও মাদক দূর করা যাবেনা। এজন্য সমাজের প্রত্যেককে সামাজিক ও নাগরিক দায়িত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।জনকল্যাণে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগের প্রশংসা করে আইজিপি বলেন, সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে করপোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) আওতায় অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top