সকল মেনু

৫৪০ কোটি ডলার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা

হটনিউজ ডেস্ক : রূপকল্প ২০২১-এর আওতায় বৈদেশিক বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা ৫৪০ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে দেশে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে ৪০ বিলিয়ন ডলার এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে প্রায় ১ কোটি মানুষের।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যুৎ ঘাটটিত দূর করে উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বিনিয়োগ বোর্ডে নিবন্ধিত প্রকল্পসমূহে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩৫৩ জন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পাশাপাশি কর অবকাশসহ বিভিন্ন প্রণোদনার সৃষ্টি করায় বৈদেশিক বিনিয়োগ ক্রমেই বাড়ছে।

মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত দেশে বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ায় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থাশীল করছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১১ সালে বিদেশী বিনিয়োগ ছিল ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের কিছু বেশি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ এসেছে ২২৩ কোটি ডলার।

প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিনিয়োগ বিকাশ কর্মসূচির কারণে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, শিল্পখাতে বিনিয়োগের ফলে ব্যবস্থাপনা, কারিগরি, সুপারভাইজরি এবং দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিক পর্যায়ে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। দেশের উন্নয়নে প্রতিটি খাতেই বিনিয়োগ প্রয়োজন।
২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আহরণ, উন্নয়ন ব্যয় বাস্তবায়ন ও বেসরকারি কিংবা বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। দেশের মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানান খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন। বিশেষ করে গবেষণা কাজে পারদর্শী ও প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে বিগত দশ বছরে মোট বিনিয়োগ বেড়ে তা জিডিপির ২৮ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭.১১ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়।

সরকার ইতোমধ্যে বিনিয়োগবান্ধব জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়ন করেছে। জাতীয় শিল্পনীতির খসড়ায় বলা হয়েছে ‘কোনো বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ১০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে অথবা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ২০ লক্ষ ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ১৬ কোটি টাকা স্থানান্তর করলে তাকে এ দেশের নাগরিকত্ব দেয়া হবে’।

ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করেছেন। বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে ভারত, চীন, জাপান ও কোরিয়ার জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল সংরক্ষণসহ ৩০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাবে ৪০ বিলিয়ন ডলার এবং প্রায় ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top