সকল মেনু

ফ্রিজের বাজারে সূক্ষ্ম কারচুপি: ফ্রিজ কিনে ঠকছেন ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজা ও ঈদুল-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে বাজারে প্রতিবছরই ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি বেড়ে যায়। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে দেশব্যাপী অস্বাভাবিক গরম। ফলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রমজানে ফ্রিজের চাহিদা একটু বেশি। আর এই বাড়তি চাহিদাকে পূঁজি করে স্থানীয় বাজার সয়লাব হয়ে গেছে আমদানিকৃত নিন্মমানের লোক ঠকানো ডিজাইনের ফ্রিজে। এসব ফ্রিজে ভেতরের আয়তন ছোট হলেও, সুকৌশলে বড় দরজা দেখিয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী।
রাজধানীতে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সর্ববৃহৎ খুচরা ও পাইকারি বাজার ‘স্টেডিয়াম মার্কেট’ ঘুরে দেখা গেছে, অসহনীয় গরম, রোজা এবং ঈদকে কেন্দ্র করে ফ্রিজের সরবরাহ ও চাহিদা অনেক বেড়েছে। এই সুযোগে বাজার ভরে গছে নিন্মমানের ফ্রিজে। বেশি আয়তন, দামে সাশ্রয়ী- মনে করে এরকম ফ্রিজ কিনে প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা। নামীদামি ব্র্যান্ডের একই মাপের ফ্রিজের তুলনায় এসব ফ্রিজের আয়তন অনেক বেশি দেখানো হচ্ছে। ভেতরের জায়গা কম থাকলেও ক্রেতাদের বলা হচ্ছে এর উল্টো। এভাবেই বিভ্রান্তিতে পড়ছেন সাধারন ক্রেতারা।
বিক্রেতারা জানান, ফ্রিজ কেনার সময় ক্রেতারা সাধারণত কয়েকটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কত আয়তন, ভেতরে খাবার রাখার জায়গা কতটুকু এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিক্রয় প্রতিনিধিদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ফ্রিজ কেনেন ক্রেতারা। এক্ষেত্রে, অসাধু বিক্রেতারা আমদানিকৃত নি¤œমানের লোক ঠকানো ডিজাইনের ফ্রিজের প্রকৃত আয়তনের চেয়ে অনেকটাই বাড়িয়ে বলে থাকেন। দেখতে মনে হয় ফ্রিজটি অনেক বড়।
এ প্রসঙ্গে স্টেডিয়াম মার্কেটে ‘জেনারেল ইলেকট্রনিক্স’ এর সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ভিতরের আয়তন বড় দেখাতে বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে এসব ফ্রিজ। বিশেষ করে, এগুলোর দরজা ফ্রিজের বডি’র চেয়ে কিছুটা চওড়া বা বাড়তি ডিজাইনে তৈরি করা বলে সাধারণ ক্রেতারা মনে করছেন – ফ্রিজের ভিতরে খাবার সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ আয়তন বাইরে থেকে যতটা বড় মনে হয় আসলে ততটা বড় নয়। তিনি বলেন, আর এই ফাঁদে পা দিয়ে এসব ফ্রিজ কিনে ঠকছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান এমদাদুল হক সরকার বলেন, গ্রাহকদের কষ্টার্জিত অর্থে কেনা ফ্রিজের মান ও ডিজাইন নিয়ে প্রতারণা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমদানিকারকসহ দেশীয় ফ্রিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সবাইকে মনে রাখতে হবে- প্রতারণা কখনোই সুফল বয়ে আনে না। তাই, গ্রাহকদের কষ্টার্জিত অর্থে কেনা ফ্রিজের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে তিনি আমদানিকারকসহ দেশী-বিদেশী ফ্রিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্টানগুলোকে এ ধরণের লোক ঠকানো ডিজাইনের ফ্রিজ উৎপাদন বা বাজারজাত করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
তিনি আরো বলেন, ওয়ালটন সঠিকভাবে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধসহ অন্যান্য নিয়মকানুন যথাযথভাবে মেনে চলে। একইভাবে, প্রোডাক্ট ডিজাইন ও মানের ক্ষেত্রেও যথাযথ নৈতিকতা বজায় রাখে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top