হটনিউজ ডেস্ক: নাঈম আশরাফবনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন সিআইডি’র ফরেনসিক বিভাগকে এ আদেশ দেন।
এছাড়া এই মামলার আসামিদের পাঁচটি মোবাইল ফোন ও একটি পাওয়ার ব্যাংক ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাদমান সাকিফের জব্দ করা পাঁচটি মোবাইল সেট ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আসামিদের ব্যবহৃত একটি পাওয়ার ব্যাংকও সেখানে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্নিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধক উপ-পরিদর্শক আবদুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় আসামিদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। সে অনুযায়ী মোবাইল ফোনসেট সিআইডি’র ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর জন্য শনিবার (১৯ মে) আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়। এছাড়া আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, ‘বনানীর ধর্ষণ মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তাই আজ (শনিবার) আদালতের কাছে এসব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস পরীক্ষার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে সেগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী। ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে তারা বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।