সকল মেনু

বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণ: আসামিদের ব্যবহৃত মুঠোফোন পাঠানো হচ্ছে ফরেনসিক ল্যাবে

হটনিউজ ডেস্ক: বনানীর দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামিদের ছয়টি মোবাইল ফোন সেট ফরেনসিক পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগ। এসব মোবাইল ফোন সেট সিআইডি’র ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর জন্য এরইমধ্যে আদালতের অনুমতি চেয়েছেন তারা। এছাড়া আসামি নাঈম আশরাফের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আলামত সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান এসব তথ্য তনিশ্চিত করে জানান জানান, ‘বনানীর ধর্ষণ মামলার তদন্তের স্বার্থে আসামিদের কিছু ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস সিআইডির  রেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আদালতের অনুমতির প্রয়োজন। তাই আজ আদালতের কাছে এসব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস পরীক্ষার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে সেগুলো ল্যাবে পাঠানো হবে।’

এর আগে, ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার তরুণীদের ছবি যারা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আব্দুল বাতেন বলেন, বনানীতে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর ছবি ফেসবুকে প্রকাশের মাধ্যমে যারা তাদের হেয় করার চেষ্টা করছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি সাইবার ক্রাইমকে অবহিত করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার প্রায় ৪০দিন পর গত ৬ মে তারা বনানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও বডি গার্ড রহমত আলী ওরফে আজাদকে আসামি করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতোমধ্যে সব আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top