সকল মেনু

ওয়ালটনের অত্যাধুনিক ডিজিটাল ডিসপ্লে ফ্রিজ এখন বাজারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রাহকদের হাতে নিত্য নতুন প্রযুক্তি পণ্য তুলে দিতে ওয়ালটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেই লক্ষ্যে ওয়ালটনের শক্তিশালী আরএন্ডডি টিমের প্রকৌশলীরা নিরলস পরিশ্রম ও ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত উদ্ভাবন করছে নতুন নতুন মডেলের পণ্য। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এবার বাজারে নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও আকর্ষণীয় মডেলের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ডিজিটাল ডিসপ্লে সম্বলিত ফ্রিজ।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে ৩২৩ লিটার বা ১৭ সিএফটি’র নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। যেটির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৬০০এ গ্যাস। স্ট্যাবিলাইজার ছাড়াই গ্রাহকরা নির্বিঘেœ ব্যবহার করতে পারবে ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই ফ্রিজটি। এর আরেকটি স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য হলো- ফ্রিজের দরজাতে ডিজিটাল ডিসপ্লে’র সংযুক্তি। যেখানে রয়েছে ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর, ইনক্রিমেন্ট ও ডিক্রিমেন্ট (তামপাত্রা কমানো ও বাড়ানো), চাইল্ড লক, ইকো ও সুপারকুল কি বা বোতাম । যেগুলো চেপে গ্রাহকরা ফ্রিজের দরজা না খুলে অনায়াসেই নিজের পছন্দমত রেফ্রিজারেটরের নরমাল ও ডিপ অংশের তাপমাত্রার নির্ধারণ করাসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মুড, সুপারকুল মুড, চাইল্ড লক সিস্টেম ও ইকো মুড চালু করতে পারবেন। যা কিনা প্রদর্শিত হবে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে। ফলে, ব্যবহারকারি বাইরে থেকেই নিজের পছন্দমত ফ্রিজের তাপমাত্রা ও অন্যান্য সেটিংস নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তন করতে পারবেন।
ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা জানান, গ্রাহকদের জন্য ফ্রিজ পরিচালনা আরো সহজ করার বিষয়টি মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে নতুন মডেলের এই ফ্রিজ। এর দরজায় ডিজিটাল ডিসপ্লে’তে সংযুক্ত ফ্রিজার বোতাম একবার চেপে গ্রাহক ডিপ অংশের তাপমাত্রা প্রয়োজনমত গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন মুড নির্ধারণ করতে পারবেন। ইনক্রিমেন্ট ও ডিক্রিমেন্ট বোতামের সাহায্যে তাপমাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। ফ্রিজার বোতাম টি দ্বিতীয়বার চাপলে ফ্রিজার কেবিনেট এর তাপমাত্রা ডিজিটার ডিসপ্লে-১ এ প্রদর্শিত হবে।
রেফ্রিজারেটর বোতাম একবার চাপলে ডিসপ্লে-২ এ নরমাল কেবিনেট এর তাপমাত্রার মান প্রদর্শিত হবে। সুপারকুল বোতামের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৯৯ ঘন্টা পর্যন্ত সময় নির্ধারণ গ্রাহক ফ্রিজের কম্প্রেসারটি চালু রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রেও গ্রাহক তার প্রয়োজন মত নরমাল কেবিনেটে গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন তাপমাত্রার মুড নির্ধারণ করতে পারবেন।
এই ফ্রিজের আরেকটি বিশেষ দিক হলো চাইন্ড লক সিস্টেম। গ্রাহক ৩ সেকেন্ড সময় পর্যন্ত চাইল্ড লক বোতমটি চেপে ধরলে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে সংযুক্ত অন্যসব বোতামগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এর ফলে, শিশুরা ডিসপ্লেতে সংযুক্ত বোতামগুলো চেপে ফ্রিজের সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না। গ্রাহক ৩ সেকেন্ড সময় পর্যন্ত চাইন্ড লক বোতামটি আবার চাপলে সক্রিয় হবে অন্যসব বোতাম।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই ফ্রিজের ডিসপ্লেতে রয়েছে ইকো কি বা বোতাম। যার মাধ্যমে গ্রাহক সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মুড এ ফ্রিজটি পরিচালনা করতে পারবেন। ইকো বোতামের সাহায্যে গ্রাহক মাইনাস ১৪, ১৫ ও ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নির্ধারণ করে যথাক্রমে এক স্টার, দুই স্টার ও তিন স্টার রেটিং সেট করতে পারবে। যা কিনা ডিজিটাল ডিসপ্লে’র ইকো আইকন এ প্রদর্শিত হবে।
গ্রাহক ফ্রিজের নরমাল কেবিনেটের দরজা খুললেই ডিজিটাল ডিসপ্লে’তে সংযুক্ত ডোর ওপেন আইকনটি জ্বলে উঠবে। দরজা যদি ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত খোলা থাকলে ফ্রিজে সংযুক্ত শব্দ যন্ত্রটিতে মৃদু শব্দ করবে। আর যদি গ্রাহক ভুলক্রমে ১ মিনিটের মধ্যেও দরজা বন্ধ না করে, তাহলে যন্ত্রটিতের কর্কশ ধরণের শব্দ করবে। এছাড়াও, এই ফ্রিজে বরফ জমবে না।


ওয়ালটন ফ্রিজ আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের প্রধান তাপস কুমার মজুমদার বলেন, নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজে প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার যুক্ত হলো ডিজিটাল ডিসপ্লে প্রযুক্তি। পাশাপাশি, ব্যবহার করা হয়েছে ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির। যা ফ্রিজের খাবারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া অনুপ্রবেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করে। নেগেটিভ আয়ন রেফ্রিজারেটরের খাবারকে সজীব ও সতেজ রাখে বলে খাবারের স্বাদ থাকে অক্ষুন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নুসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজের মান নিশ্চিত করেই বাজারে ছাড়া হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তির ব্যবহার, এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কম্প্রেসারে দশ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে দেশেই তৈরি হয় বলে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ।
ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, স্থানীয় বাজারে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটনের ফ্রিজ। দেশীয় বাজারে নিরঙ্কুশ প্রধান্য ওয়ালটনের। যার প্রেক্ষিতে চলতি বছর ওয়ালটন ১৭ লাখ ইউনিট ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ফ্রিজে যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল ডিসপ্লে’র মত নিত্য নতুন প্রযুক্তি ও ডিজাইন।
আইএসও সনদ প্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় দ্রুত সর্বোত্তম সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ওয়ালটন। সারাদেশে ৬৬ সার্ভিস সেন্টার চালু রয়েছে। শীঘ্রই আরো ৭টি জেলা শহরে নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু হবে। এর বাইরে ৩০০ টিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের মাধ্যমেও গ্রাহকদের বিক্রয়োত্তর সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। যেখানে কাজ করছেন ২ হাজার ৫’শ প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান।
জানা গেছে, ফ্রিজের বিক্রয়োত্তর সেবায় গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দিচ্ছে ওয়ালটন। গ্রাহকরা যেকোন মোবাইল থেকে ১৬২৬৭ নম্বরে কল দিয়ে বছরের ৩৬৫ দিনই পাচ্ছেন কাঙ্খিত সেবা। তথ্য প্রাপ্তির পর গ্রাহকের বাড়িতে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সার্ভিস প্রোভাইডার। ওয়ালটনের এই সেবা এরইমধ্যে গ্রাহকমহলে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে। বিক্রয়োত্তর সেবায় খুব শিগগীরই অনলাইন ভিত্তিক সেবাও চালু করতে যাচ্ছে দেশীয় কোম্পানিটি। গ্রাহক ঘরে বসেই জানতে পারবেন পণ্যটি কোন পর্যায়ে আছে, কখন ডেরিভারি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, গ্রাহককে ওয়ারেন্টি কার্ড বহনেরও দরকান নেই। ওয়ালটন সার্ভারেই সব সংরক্ষিত থাকবে।
উল্লেখ্য, দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে উচ্চমানের ওয়ালটন ফ্রিজ। বিশ্বব্যাপী বাজার সম্প্রসারণের লক্ষে ওয়ালটন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে। বিশেষ করে নাইজেরিয়া এবং চীনের বানিজ্য মেলায় অংশ নিয়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশী এই ব্র্যান্ড।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top