সকল মেনু

দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, তা করছি

হটনিউজ ডেস্ক: ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, তা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, তা করে যাচ্ছি। দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধিও সংশোধনের কাজ চলছে।’

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিচারকদের সুবিধার জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক বেতন স্কেল করা হয়েছে। জজ সাহেবদের বাসস্থানের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। ২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে সবকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে দারিদ্র্য মুক্ত করা। দেশের মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা। গ্রামের মানুষের দারিদ্র্য দূর করা, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সময় বাঁচানো জন্য, মামলাজট কাটিয়ে ওঠার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অধঃস্তন আদালতের দেড় হাজার বিচারককে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ভারতের জুডিশিয়াল কমিশনের সঙ্গে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। দুর্ধর্ষ আসামিদের আনা-নেওয়ার জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদেরকে যেন নিরাপদে স্থানান্তর করা যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।’

আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও শাসন বিভাগ রাষ্ট্রের এই তিনটি বিভাগকে সমন্বয় করে চলতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একে অন্যকে দোষরোপ করলে চলবে না। আইন বিভাগ আইন তৈরি করে, শাসন বিভাগ তা প্রয়োগ করে ও বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। কাজেই কেউ একা চলতে চাইলে চলতে পারবে না। তিন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে চলতে হবে।’

প্রসঙ্গত, আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় ঢাকাস্থ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসটি অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সুপ্রিম কোর্টের একাধিক বিচারপতিসহ লিগ্যাল এইড কমিটির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top