সকল মেনু

মনটা আজ আকাশের মতো মেঘাচ্ছন্ন: রাষ্ট্রপতি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: উজান থেকে নেমে আসা ঢলে হাওর এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় বিষণ্ন হয়ে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তার মন ভালো নেই। হাওর এলাকা ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেই এলাকার মানুষদের প্রতি সমব্যথী রাষ্ট্রপতি প্রকাশ্যেই বললেন, ‘মন ভালো নেই আজ। আকাশের মতো মনটা খুব মেঘাচ্ছন্ন।’ বুধবার (১৯ এপ্রিল) ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সুধীজনদের উদ্দেশে একথা বলেন।

মূলত স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সরস বক্তব্য দিয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। নির্ধারিত বিষয়ের সঙ্গে অভিজ্ঞতার মিশেলে আঞ্চলিক ভাষায় হাস্যরস সৃষ্টি করে থাকেন তার সব বক্তৃতায়। এদিনও তিনি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে শ্রোতাদের আনন্দে ভাসান। তবে আজ আর অন্যদিনের মতো ফুরফুরে মেজাজের সেই রেশটি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। এক পর্যায়ে বলেই দিলেন, মন ভালো নেই আজ।

রাষ্ট্রপতি বলেন,‘আমি কিশোরগঞ্জের হাওরপাড়ের মানুষ। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জসহ দেশের নানান হাওর এলাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন আগে আকস্মিক বন্যায় ওই সব এলাকার বোরো ধান তলিয়ে গেছে। সেই ধান পচে এখন মাছ মরে যাচ্ছে। আমি সেখানকার ধ্বংসলীলা আর কৃষকদের হাহাকার সরেজমিনে দেখে এসেছি। আজও আবহাওয়া খারাপ। ত্রিশালে এসে বৃষ্টি-বাতাসের এমন আবহাওয়া দেখে মন চুপসে গেছে।’

লিখিত বক্তব্যে মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘বাণিজ্যিকীকরণ শিক্ষার গুণগত মানকে ব্যাহত করাসহ মেধা বিকাশের পথকে বাধাগ্রস্থ করে। তাই শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের আর্ন্তজাতিক মানে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে নির্ধারিত পাঠ্যসূচির বাইরেও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নজরুলের সঙ্গে ত্রিশালের ছিল গভীর সম্পর্ক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক চেষ্টা ও আগ্রহে ১৯৭২ সালের ২ মে কাজী নজরুল ইসলামকে ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। বঙ্গবন্ধু কবি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি বরাদ্দ দেন। বঙ্গবন্ধু ওই বাড়িটির নামকরণ করেন ‘কবি ভবন’ হিসেবে। কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।

অনুষ্ঠান সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহীত উল আলম, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বক্তব্য রাখেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top