সকল মেনু

হাসিনা ও মোদি সরকার তিস্তা সমস্যার সমাধান করবে

সরোয়ার হোসেন, দিল্লি থেকে: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং অব্যাহত চেষ্টার বিষয়ে আমি আপনাদের এবং বাংলাদেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমার সরকার এবং শেখ হাসিনার সরকার তিস্তা পানি বণ্টন সমস্যার আশু সমাধান করতে পারবে এবং করবে। শনিবার শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শীর্ষ বৈঠকের পর এ কথা বলেন।

তিস্তাচুক্তির খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে ছয় বছর আগে এবং ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময়ে এটি স্বাক্ষর হওয়ার কথা ছিল।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির চরম বিরোধিতার কারণে সেসময় এটি স্বাক্ষর করা যায়নি।

এরপর গত ছয় বছর ধরে ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুধু আশ্বাসই দেওয়া হয়েছে। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আগে তিস্তাচুক্তি ঠিক কবে হবে,ভারতের কাছে সে বিষয়ে ঢাকা অন্তত একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আদায়ের চেষ্টা করেছিল,কিন্তু সেটি সফল হয়নি।

শনিবার হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকের পরে দুই প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দেন। এসময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত ছিলেন এবং মোদি তাকে (মমতাকে) তার একজন সম্মানিত অতিথি হিসেবে সম্বোধন করেন। মোদি তার বিবৃতিতে বলেন,‘এটি বাংলাদেশ-ভারত দিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতে মোদি আরও বলেন, ‘আমি জানি বাংলাদেশের প্রতি তার (মমতার) অনুভূতি আমার মতোই প্রবল।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিবৃতিতে তিস্তা নদী, গঙ্গা ব্যারাজ এবং অববাহিকাভিত্তিক পানি ব্যবস্থাপনার প্রতি জোর দেন এবং এর দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

শনিবার বাংলাদেশ ও ভারত ২২টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতের বেসরকারি খাতের সঙ্গে আরও ১২টি বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top