সকল মেনু

এবার ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধশতাধিক টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

 হটনিউজ ডেস্ক: সিরিয়ার সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ মিসাইল হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক রাসায়নিক হামলার জন্য সিরিয়ার সরকারকে দায়ী করে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) এ হামলা চালানো হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো খবরটি জানিয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমেও এ হামলার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মার্কিন মিসাইল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনায় আঘাত করেছে। আর এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মঙ্গলবার যে ঘাঁটি থেকে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে সেখানেই হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল ইদলিবে ওই গ্যাস হামলা সংঘটিত হয়। আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধনীতি অস্বীকার করে ওই হামলায় আবারও সিরিয়ায় রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের আলামত মেলে। হামলায় ৮৬ জন নিহত হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, ২০১৩ সালের আগস্টে সারিন গ্যাস হামলার অভিযোগ ওঠার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা। আসাদবিরোধী বিদ্রোহীরা এই হামলায় সরকারী বাহিনী ও রাশিয়াকে দুষলেও এই দাবি অস্বীকার করেছে সিরীয় সেনাসূত্র ও রুশ কর্তৃপক্ষ। হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে তোপের মুখে পড়ে রাশিয়া। ওই হামলায় সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দায়ী করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, বিদ্রোহীরা ওই রাসায়নিক গ্যাস মজুত করে রেখেছিল। সিরীয় বিমান হামলায় সেই গুদাম আক্রান্ত হলে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে রাশিয়ার এমন দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করে নিরাপত্তা পরিষদের অন্য সদস্য দেশগুলো। তারা আসাদ’কে থামাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায়।
সিরিয়ার ওই সম্ভাব্য রাসায়নিক হামলার জবাব দেওয়ার দাবি করে দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার টমাহক ক্রুজ মিসাইল হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানায়,  যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে ভুমধ্যসাগর হয়ে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। শায়রাত বিমানঘাঁটির বিমান, শেল্টার, অস্ত্র সরবরাহ, জ্বালানি ভাণ্ডার এবং রাডারকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সিরিয়ার বিমান ও সাপোর্ট ইনফ্রাসট্রাকচার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top