সকল মেনু

আজ ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার আপিলের রায়

 হটনিউজ ডেস্ক: ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আসামিদের আপিলের রায় ঘোষণা আজ। রায়ের জন্য মামলাটি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে রবিবারের কার্যতালিকার শীর্ষে রয়েছে।

আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের বিষয়ে শুনানি শেষ করে ৯ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীব হত্যার পর থেকে একের পর এক ব্লগার, লেখক-প্রকাশক হত্যাকাণ্ডে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সম্পৃক্ততা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে। এর মধ্যে বিচারিক আদালতে প্রথম রাজীব হত্যার রায় ঘোষণা হয়েছে।

এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানীসহ অন্য  ছয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদ রায়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র পলাতক রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম দীপের ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি আসামিদের মধ্যে মাকসুদুল হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাকি পাঁচ জনের মধ্যে এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও  দুমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক।

মামলাটির রায়ের জন্য আজ (রবিবার) দিন নির্ধারণ করে দেওয়ার সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির সাংবাদিকদের বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের অনুমোদন ও আসামিদের আপিলের পাশাপাশি ব্লগার রাজিবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন আসামিদের শাস্তি বৃদ্ধির জন্য শাস্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন।’ ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে বাড়ির কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুজনের মধ্যে রানা পলাতক থাকায় আপিল করার সুযোগ পাননি। হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে রানাকে গ্রেফতার করে।

আসামিদের শাস্তি বহাল থাকবে আশা প্রকাশ করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল বলেন, ‘রানা ছাড়া বাকি সাত আসামিই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।যুক্তিতর্কে শাস্তি বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে ।’

২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি এ মামলার অভিযোগপত্রে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দীন রাহমানী এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত ছাত্রকে আসামি করা হয়। ওই বছরের ১৮ মার্চ অভিযোগ গঠন করে তাদের বিচার শুরু করে আদালত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top