সকল মেনু

বিনা আবাদ রসুন চাষে সাফল্য

গৌরাঙ্গ লাল দাস,গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী বাগেরহাট জেলার কুনিয়া গ্রামে বিনা আবাদে রসুন চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট উদ্ভাবিত রাবি ২ জাতের রসুন ৫০ মন উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার রসুদ রসুন ফলেছে। বিঘা প্রতি রসুন আবাদে কৃষকওে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষকের লাভ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা।
বোরবার দুপুরে কুনিয়া গ্রামে পিারাজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষক মাঠ দিবসে এসব তথ্য জানান কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
মাঠ দিবসে বাগেরহাট মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। প্রকল্পের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর মজুমদার, কৃষক শেখ হাবিবুর রহমান, মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন সহ অরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
কৃষক শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, নভেম্বর মাসে আমাদের জমি থেকে পানি নেমে যায়। মাঠে কাদা থাকে। ফলে জমি চাষাবাদের কোন সুযোগ থাকে না। এ বছর ওই জমিতে বিনা আবাদে রসুন বুনেছি। মাত্র ৩ মাসে জমিতে এ রসুন ফলেছে। ৩ মাসে ১ বিঘায় ৮০ হাজার টাকা লাভ পেয়েছি।


প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এবছর কুনিয়া গ্রামের ৪৫ বিঘা জমিতে বিনা আবাদে রসুন চাষ করে কৃষক ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। আগামী বছর এ গ্রামে রসুনের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
প্রকল্পের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসার বলেন, স্থানীয় জাত বিঘায় মাত্র ২৫ মন উৎপাদিত হয়। সেখানে বিনা আবাদের রসুন ৫০ মন ফলে। এ রসুন সাইজে বড়। কৃষক বেশিদামে এ রসুন বিক্রি করতে পারেন। বিনা আবাদে রসুন চাষ চলন বিলে হয়ে থাকে। এ বছর প্রথম কুনিয়া গ্রামে এ জাতের রসুন চাষ করে কৃষক কাঁচা পয়সা ঘরে তুলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top