সকল মেনু

রংপুরে ছাত্রলীগ-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ, পাঁচ সাংবাদিকসহ আহত ৩০

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কের মোড় এলাকায় ব্যবসায়ী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ থামে রাত প্রায় ৯টায়।

জানা গেছে, চাঁদার এক লাখ টাকা না পেয়ে পার্কের মোড়ের রিফা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড কনফেকশনারিতে ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শিশিরের নেতৃত্বে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় চারটি চায়ের দোকানে আগুন দেওয়া হয় এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আহতদের মধ্যে দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক উদয় চন্দ্র বর্ম্মন, চ্যানেল নাইনের ক্যামেরাপারসন মুকুলসহ ৫ সাংবাদিক রয়েছেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই শাহীন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন  বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সব কার্যক্রম স্থগিত করেছি। ঘটনা তদন্তে কেন্দ্র থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শনিবার সকালে ছাত্রলীগ রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান শিশির তার দল নিয়ে রিফা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড কনফেকশনারির মালিক মাজেদুল ইসলাম লাভলুর কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করার কিছুক্ষণ পর শিশিরের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওই কনফেকশনারিতে হামলা চালিয়ে ৪টি ফ্রিজ ও কয়েকটি র‌্যাক ভাঙচুর করে। এসময় তারা নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে রিফা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড কনফেকশনারির মালিক ও পার্কের মোড় ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক মাজেদুল ইসলাম বাবলু জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি শিশির এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলো। টাকা দিতে অস্বীকার করায় দলবল নিয়ে এসে দোকানে তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে তার প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান শিশিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম আরিফ  বলেন, ‘ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। যারাই ঘটাক না কেন, ঘটনাটা দুঃখজনক।’ এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top