সকল মেনু

ভারত গঙ্গা ব্যারেজের বিষয়ে ইতিবাচক: পররাষ্ট্র সচিব

হটনিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ব্যারেজ বাস্তবায়নে উপায় খুঁজে বের করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে ভারত। বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হলে এ বিষয়ে আরও আলোচনার ব্যাপারে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে ভারত। বৈঠক শেষে  পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব এম. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে ভারত ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এ বিষয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ আছে এবং আমরা আশাকরি শীঘ্রই দুই ওয়ার্কিং গ্রুপ আলোচনায় বসবে এবং উপায় খুঁজে বের করবে। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর। বিকালে সংসদ ভবনে সংসদ নেতার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি আগামী এপ্রিলের প্রথম দিকে ভারত সফরের জন্য তাকে মৌখিক ভাবে আমন্ত্রণ জানান। উল্লেখ্য, এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিক পত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারই চূড়ান্ত আনুষ্ঠানিকতা এটি। পরে দুই পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের আলোচ্য সূচি,  সফরের তারিখ ও কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়।

আগামীকাল সকালে জয়শঙ্করের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে গঙ্গা ব্যারেজের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘এটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবো না। আমরা আলোচনা করেছি। শীঘ্রই ওয়ার্কিং গ্রুপে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা আশাকরি একটা ভালো সফল সফর হবে, শুরুটা খুব ভালো হয়েছে।’ এই সফরে কতগুলো চুক্তি হতে পারে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেশকিছু চুক্তি হবে। কতগুলো চুক্তি  হবে সেটি এখন বলা যাচ্ছে না। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চুক্তি হবে।’ ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা প্রশ্নে তার সংক্ষিপ্ত উত্তর, ‘আমরা আশাবাদী।’ তিস্তা বিষয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ আলোচনা শেষ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনারা কী করেছেন সেটি উনারাই (ভারতীয় পক্ষ) আপনাদের বলবেন।’ বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথাও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।

নতুন কোন ক্ষেত্রে দুই দেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কানেকটিভিটির নতুন আইডিয়া নিয়ে আমরা কথা বলেছি।’ দিল্লি সফরে কোন কোন এজেন্ডা নিয়ে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনা হতে পারে জানতে চাইলে এম. শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের আট-দশটি ক্লাস্টার আছে। সেগুলো হচ্ছে জ্বালানি সহযোগিতা, কানেকটিভিটি, বাণিজ্য, সীমান্ত বিষয়, কনস্যুলার বিষয়, রেলওয়ে, শিপিং ইত্যাদি।’ উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করার কথা ছিল ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর। তবে অনিবার্য কারণে ওই সফর স্থগিত করা হয়। ১০ ডিসেম্বর ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর ঢাকায় এসে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে শেখ হাসিনা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভারত সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু  অনিবার্য কারণে তখনও সফরটি স্থগিত করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top