সকল মেনু

কেবল উন্নয়নের কথা বললে ভোট হবে না: প্রধানমন্ত্রী

হটনিউজ ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে সেইভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।’ বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনস্থ সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। দলটির একাধিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বৈঠকে উপস্থিত একজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘‘নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে দলীয় এমপিদের উদ্দেশে সংসদ নেতা বলেন, ‘কেবল উন্নয়নের কথা বললে ভোট হবে না। জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগন থেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না। জনগণের কাছ থেকে অতীতে অনেক কিছু নিয়েছেন। এবার তাদের দিতে হবে।’’

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করার নির্দেশ দেন দলীয় এমপিদের। সূত্র জানায়, বৈঠকে বিএনপিকে  ‘সন্ত্রাসী দল’ আখ্যায়িত করে কানাডার ফেডারেল কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তারা যে সন্ত্রাসী দল, তা আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আন্দোলনের নামে তারা মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ দিয়েছে। পুলিশ পুড়িয়ে মেরেছে। বিএনপি-জামায়াতের এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে মানুষকে জানাতে হবে।’

জনবিচ্ছিন্নদের মনোনয়ন না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে কী করছেন, তার রিপোর্ট আমার কাছে আছে। নিয়মিত এসব সব তথ্য হালনাগাদ করা হচ্ছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই আগামী নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে। এলাকায় যার অবস্থান ভালো না তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।’

এ সময় তিনি এলাকায় দ্বন্দ্ব-কোন্দল মিটিয়ে সবাইকে মিলেমিলে কাজ করার নির্দেশ দেন।

সূত্র জানায়, পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোর তথ্য জোগাড় এবং বিশ্লেষণ করে একাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অতীতের সব ভোটের তথ্য নির্বাচন কমিশন থেকে জোগাড় করতে হবে। ওই সব নির্বাচনে কারা প্রার্থী ছিল, কে, কত ভোট পেয়েছিল সব তথ্য বিশ্লেষণ করে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কার কী দোষগুণ আছে, তা উপলব্ধি করতে হবে।’

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কানাডার আদালতে রায়ের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি পদ্মা সেতুতে কোনও দুর্নীতি হয়নি। দুর্নীতির অভিযোগের কারণে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে ঠিকই, হয়তো এখন ওই সেতুর ওপর দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারতাম। কিন্তু ওই রায়ে আমাদের মাথা উঁচু হয়েছে।’

বৈঠকে দলের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় সংসদ সদস্যরা তাকে ধন্যবাদ জানান।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ, শামীম ওসমান, মনিরুল ইসলাম, জাহিদ মালেক স্বপন, ড. হাছান মাহমুদ, মুন্নজান সুফিয়ান, শাজাহান খান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top