সকল মেনু

এক মাসেই ভেঙ্গে পড়েছে চিরিরবন্দর প্রকল্প ড্রেন

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: জেলার চিরিরবন্দরের ইসুবপুর ইউনিয়নে এলজিএসপি’র বরাদ্দের পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণের এক মাসের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমের পানি নিষ্কাসনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করতে হলেও বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই ড্রেন চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ইসুবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ দগরবাড়ি গ্রামের উত্তর পাড়ার জালালের বাড়ির পার্শ্বে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩ শত ২৮ টাকা ব্যয়ে পাকা ড্রেন নির্মাণ কাজ করা হয়।কিন্তু কাজটি শেষ হতে না হাতেই তা ভেঙে গেছে। নিম্মমানের ইট সিমেন্ট ব্যবহার করায় পানি নিস্কাশনের  এই ড্রেনটি ভেঙ্গে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক স্থানীয় এলাকাবাসী জানায় , ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতাসীন দলের  নির্বাচিত চেয়ারম্যান হওয়ায়  এলজিএসপি’র বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ  করে  লোক দেখানো  সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে নিম্মমানের কিছু কাজ করেছে। ড্রেন নির্মাণের কাজ  নিম্মমানের হওয়ায় স্থানীয়রা বাধা দিয়েছিল, কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এই ড্রেন নির্মাণ করেছে। ফলে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই ড্রেন ভেঙ্গে পড়েছে।

ইসুবপুর ৩নং ওয়াডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানায় ,আমার নির্বাচনী ওয়ার্ডে এই পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে স্থানীয়রা  ড্রেন ভেঙ্গে পড়ার খবর আমাকে দিয়েছে। আমি অসুস্থ থাকার কারণে ভেঙ্গে পড়া পানি নিষ্কাশনের ড্রেন পরিদর্শন করতে পারিনি।ভেঙ্গে পড়া ড্রেন পরিদর্শন শেষে পুনরায় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও কারিগরী কর্মকর্তা মো. খালেক আহমেদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইউনিয়ন সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন এবং বেশি বেশি করে রিপোর্ট করার পরামর্শ দেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে এলজিপি’র ২ লোকাল গভর্মেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ওই ইপিতে প্রায় ২২ লাখ ৪৫ হাজার ৯ শত ২৩ টাকার ১৪ টি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ভেঙে যাওয়া ড্রেন প্রকল্পটিই প্রথম স্থানে রয়েছে।

পরে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার লিটন মোবাইল করে প্রকল্প নিয়ে রিপোর্ট না করতে বলেন। তিনি আরও বলেন যদি ইউনিয়নের কোনো বিষয়ে সংবাদ করেন তা হলে ইউনিয়ন পরিষদে আর উঠতে পারবেন না আমার প্রকল্প দেখার আপনারা কে ? আমি আপনাদের সাংবাদিকতা দেখে নেব।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গোলাম রব্বানী’র সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থেকে থাকে, লিখিত অভিযোগ পেলে, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top