সকল মেনু

সরকারি সংস্থাগুলো যেসব কারণে লোকসানের মুখে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: অব্যবস্থাপনা, মনিটরিংয়ের অভাব, অদক্ষ ও অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ, দুর্নীতি, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের অভাবে সরকারি সংস্থাগুলোর লোকসানের পরিমাণ কমানো যাচ্ছে না। বছরের পর বছর এসব সংস্থার জন্য রাখতে হচ্ছে বিশেষ বরাদ্দ। ফলে প্রতিবছর বাড়ছে ভর্তুকির পরিমাণ, চাপ পড়ছে বার্ষিক বাজেটে। পাশাপাশি এসব সংস্থার কাছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ রয়েছে কয়েক শ’ হাজার কোটি টাকা, যে ঋণের তথ্য মেলানোই এখন কঠিন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল থেকে পাওয়া তথ্যে এসব বিষয় জানা গেছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৬ এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে মোট ৪৬টি সরকারি সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে শিল্প খাতে রয়েছে ৬টি সংস্থা- বাংলাদেশ বস্ত্র শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন।

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি খাতের ৭টি সংস্থা হলো- বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ওয়াসা, চট্টগ্রাম ওয়াসা, রাজশাহী ওয়াসা ও খুলনা ওয়াসা।

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতেও রয়েছে ৭টি সংস্থা-বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন করপোরেশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

বাণিজ্য খাতের ৩টি সংস্থা হলো-বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, বাংলাদেশ বাণিজ্য করপোরেশন ও বাংলাদেশ পাট করপোরেশন। কৃষিখাতে রয়েছে ২টি সংস্থা- বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।

নির্মাণ খাতের ৫টি সংস্থা- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ।

সার্ভিস খাতে রয়েছে ১৬টি সংস্থা- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ চা বোর্ড, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৬ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনে ২০০৮-৯ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত ৮ অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ সরকারকে দিতে হয়েছে ৩১ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। একইভাবে সরকারি ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় ২০১০-১১ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত (সংশোধিত ২৮ এপ্রিল ২০১৬) ৬ অর্থবছরে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে ৮ হাজার ২৩১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এই ১১টি সংস্থা হচ্ছে- বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি), রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বিডব্লিউডিবি), জাতীয় গৃহায়ন সংস্থা (এনএইচএ), বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বিএসআরটিআই) এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি)।

জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংস্থাগুলোর কাছে সরকারের মোট ডিএসএল বাবদ পাওনার পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯২ হাজার ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সরকারি ১৯টি সংস্থার মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ২৭ হাজার ৫১২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শ্রেণি বিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ ১৮৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন ও পরিত্যক্ত পাটকলসহ সাবেক ইপিআইডিসির ৬৭টি পাটকল তদারক, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিজেএমসি গঠিত হয়। পরে আরও ১৫টি সরকারি করে বিজেএমসির আওতায় আনা হয় মোট ৮২টি পাটকল। কিন্তু ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ৪৩টি পাটকলকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিলে সরকারের হাতে থাকে ৩৯টি পাটকল। ১৯৯৩ সালে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে পাট খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় আরও ১১টি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০২ সালে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যায় এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুটমিল। বর্তমানে সরকারের হাতে আছে মাত্র ২৭টি পাটকল।

সূত্র জানায়, ১৯৬২, ১৯৬৪ ও ১৯৭৪ সালের অধ্যাদেশের ভিত্তিতেই চলছে পাট খাত। এসব অধ্যাদেশে কিছু পরিবর্তন ও সংযোজনের মাধ্যমে যুগোপযোগী আইন করা হচ্ছে। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে রফতানি আয়ের ৯০ শতাংশেই ছিল পাটের অবদান। কিন্তু এখন এ হার ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট রফতানি আয় তিন হাজার ১২১ কোটি ডলারের মধ্যে পাটের অবদান ছিল মাত্র ৮৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। তবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ অবদান বাড়বে বলে আশা করছে ইপিবি।

দেশে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি চিনিকলগুলো মুনাফা করলেও বছরের পর বছর লোকসান গুনছে সরকারি চিনিকলগুলো। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর লোকসান ছিল ৪০১ কোটি টাকা। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলো ৩১০ কোটি টাকা এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৯০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছিলো। অন্যদিকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি চিনিকলগুলোতে লোকসান ছিল ৩১৩ কোটি টাকা।

তবে দেশে স্থাপিত বেসরকারি ৬টি চিনিকলের মধ্যে ৫টিই মুনাফা করছে। এগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, নরসিংদীর পলাশে দেশবন্ধু সুগার মিলস, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ইউনাইটেড সুগার মিলস ও আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পারটেক্স সুগার মিল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে অবশ্য।

বিএসএফআইসি সূত্রে জানা যায়, দেশে সরকারি মালিকানাধীন ১৪টি চিনিকল হচ্ছে- জিলবাংলা সুগার মিলস লিমিটেড, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস লিমিটেড, শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড, সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড, রংপুর সুগার মিলস লিমিটেড, পঞ্চগড় সুগার মিলস লিমিটেড, নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেড, নাটোর সুগার মিলস লিমিটেড, মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড, কুষ্টিয়া সুগার মিলস লিমিটেড, জয়পুরহাট সুগার মিলস লিমিটেড, ফরিদপুর সুগার মিলস লিমিটেড, রাজশাহী সুগার মিলস লিমিটেড এবং কেরু এন্ড কোং সুগার মিল।

প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের এক সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি চিনিকলগুলোর লোকসানে থাকার মূল কারণ ৫টি। প্রথমত, কোনও কারণ ছাড়াই এই কারখানা গুলোয় উৎপাদিত চিনির ব্যয় বেশি। দ্বিতীয়ত, এসব কারখানার চিনির দাম বেশি হওয়ায় বাজারে বিক্রি হয় না। বিক্রি না হওয়ায় মূলধন আটকে যাচ্ছে, আর এর ফলে বাড়ছে ব্যাংক ঋণের সুদের পরিমাণ। তৃতীয়ত, সরকারি চিনিকলগুলোয় ব্যবহৃত প্রধান কাঁচামাল আখ পাওয়া যায় না। আখের অভাবে চিনিকলগুলো বন্ধ থাকে মাসের পর মাস। তবে বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে সারা বছরের বেতনভাতা দিতে হয়। ফলে লোকসানের পরিমাণও বাড়ছে। চতুর্থ কারণ – উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় যথাসময়ে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করা যাচ্ছে না। যে কারণে প্রতিদিন ব্যাংকগুলোর কাছে চিনিকলগুলোর দায় বাড়ছে। পঞ্চম কারণ- আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ কমে গেছে। কারখানাগুলোয় আখ সরবরাহ করতে সরকারি দলের আধিপত্য বিস্তার, সরকারি কর্মকর্তাদের নানা রকম ঝামেলা এবং সরবরাহকৃত আখের মূল্য সময়মতো না পাওয়ায় আখ চাষিরা আখ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সারা বছর কারখানা চালু রাখার মতো আখ পাওয়া যায় না। বছরের প্রায় ৯ মাসই কারখানা বন্ধ রাখার ফলে লোকসান বাড়ছে।

জানা গেছে, আখ উৎপাদনের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে আখ চাষিদের কারখানার মাধ্যমে যে ঋণ দেওয়া হয়, চাষিরা সেই ঋণের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ পুরো টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করে না।

প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের শনাক্ত করা এসব কারণ ছাড়াও অন্যান্য কারণে সরকারি চিনিকলগুলো লোকসান দেয়। রাজনৈতিক প্রভাবে অধিক জনবল নিয়োগ, সিবিএ’র নামে দলাদলি, কারখানা পরিচালনায় সিবিএ নেতাদের হস্তক্ষেপ, কাঁচামাল বা উৎপাদিত পণ্য পরিবহনের যানবাহন কারখানার কর্মকর্তা বা সিবিএ নেতাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার, জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত বিল আদায়, উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের জন্য বিপণন ব্যবস্থা না থাকা, পণ্যের প্রচারণার অভাব সরকারি চিনিকলগুলোর লোকসানের কারণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

অন্যদিকে, বেসরকারি চিনিকলগুলোয় সিবিএ’র দৌরাত্ম্য নেই। যে কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনবলও নেই। সিবিএ না থাকার কারণে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করে না। বেসরকারি চিনিকলে কাজ না করে বেতন নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই চিনিকলগুলো রিফাইনারি কারখানা হওয়ায় কাঁচামালের অভাবে বন্ধ থাকে না। সারা বছর চালু থাকায় লোকসানও গুনতে হয় না।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জ্বালানি তেল ক্রয় বাবদ পাঁচ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ১০ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। তাই নতুন বছরে বিপিসির জ্বালানি তেল কেনা বাবদ সরকারকে কোনও অর্থ বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে না।

বিপিসি ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট জ্বালানি তেল আমদানি হয়েছিলো ৪৮ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০১১-১২ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫১ লাখ মেট্রিক টন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৪ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিলো ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৫৭ লাখ ২৯ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top