সকল মেনু

জেডিপিসির বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন

unnamedরাকিবুল ইসলাম রাকিব: দেশে একটি বহুমুখী পাটপণ্যের প্রর্দশনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের অভাব অনেক আগে থেকেই অনুভুত হয়ে আসছে। এ রূপ কেন্দ্রের অভাবে বহুমুখী পাটপণ্য উদ্যোক্তাগণ তাদের পাটপণ্য পরিচিতি ও বিপননের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন ডিজাইনের বহুমুখী পাটপণ্য প্রর্দশন ও বিক্রয়ের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকাস্থ জেডিপিসি ভবনের ২য় তলায় বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।  এই কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশী/বিদেশী ক্রেতাদের একই জায়গা থেকে পছন্দ মত বহুমুখী পাটপণ্য পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাটের হারানো গৌরব ফিরে পেতে এই বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র গুরুত্বপর্ণ অবদান রাখবে । পাট শিল্পের রক্ষা কল্পে অতি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ এই কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক এমপি,।

unnamed

আজ রাজধানীর জেডিপিসি সম্মেলন কক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়াধীন সংস্থাটির বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি,  বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য (অতি: সচিব),পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক মো: ইসমাইল হোসেন, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক নাসিমা বেগম (যুগ্ম সচিব), বাংলাদেশ জুট ডাইভারসিফাইড প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিজেএমইএ) আহ্বায়ক মো. রাশেদুল করিম মুন্নাসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ও জেডিপিসির কর্মকর্তাবৃন্দ ।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাটপণ্যের নানামুখী উৎপাদন ও বিপণন হলেও নির্দিষ্ট কোনো বিক্রয়কেন্দ্র না থাকায় দেশী-বিদেশী বড় ক্রেতারা এসব পণ্য সম্পর্কে জানতে পারত না। ফলে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এ কারণে এসব পণ্যের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিপণনের ব্যবস্থা করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)। আজ থেকে স্থায়ীভাবে এ বিক্রয়কেন্দ্র থেকে দেশে উৎপাদিত ১৩৫টি পাটপণ্যের প্রদর্শনী শুরু হল।

অনুষ্ঠানে মাননীয় মন্ত্রী মুহা: ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক,এমপি বলেছেন, “ বাংলাদেশকে আবারও সোনালী আশেঁর দেশ হিসেবে রূপান্তর করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার । আজ ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’  (জেডিপিসি)তে বহুমুখী পাটপণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের  উদ্বোধন  করার মাধ্যমে এটা আবারও প্রমানিত হল । ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ সুষ্ঠুভাবে  শতভাগ বাস্তবায়ন করা  হয়েছে ।  অতি দ্রুত আরো ১১টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ।  এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটকে কৃষিপন্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন ।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাট সোনালি আঁশ নামে খ্যাত বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল। দেশের চার কোটিরও বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানী বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরের পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে বর্তমান সরকার । দেশী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বহুমুখী পাটপণ্য এক জায়গা থেকে প্রদর্শন ও বিক্রির উদ্দেশ্যে এ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে । এ কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী ক্রেতারা একই জায়গা থেকে পছন্দমতো বহুমুখী পাটপণ্য সম্পর্কে ধারণা নিতে এবং তা ক্রয় করতে পারবেন। পাটের হারানো গৌরব ফিরে পেতে এ বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয়কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

সভায় জানানো হয়, পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধি ছাড়া শুধু সনাতনী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পাটকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এ উপলব্ধি থেকে বহুমুখী পাট শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ২০০২ সালে জেডিপিসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে উচ্চমূল্য সংযোজিত বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও বিপণনের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top