সকল মেনু

কয়লা উৎপাদন বন্ধ: শ্রমিকদের অবস্থান ধর্মঘট

unnamedরাইসুল ইসলাম, পার্বতীপুর (দিনাজপুর): স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিকরা অনিদিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট। রবিবার দুপুর থেকে শ্রমিকরা এ কর্মসুচী শুরু করে। এরফলে খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১ হাজার ৪১ জন খনি শ্রমিক কয়লা খনিতে কাজ করে আসছেন। তাদের দৈনিক মজুরী দেওয়া হয় সারফেজে ২৯৭ টাকা এবং ভূ-গর্ভে ৩৫০ টাকা। মাসে একজন শ্রমিক ১৮-২০ দিনের বেশী কাজ করতে পারেন না। ফলে মাস শেষে তাদের বেতন দেওয়া হয় ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে তারা অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। খনির বর্তমান এমএন্ডপি চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি’র সাথে চলতি বছরের আগস্ট মাসে ইতিপূর্বে সম্পাদিত চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে খনি কর্তৃপক্ষ নতুন এমএন্ডপি ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২০১১ সালে খনি কর্তৃপক্ষ বলেছিল খনির এমএন্ডপি ঠিকাদারের সাথে পরবর্তী চুক্তির সময় শ্রমিকদের চাকরী স্থায়ী করা হবে। কিন্তু তাদের চাকুরী স্থায়ীকরণের বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি এখন পর্যন্ত।
খনি কর্তৃপক্ষে নানা তালবাহানার মুখে রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত খনি ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবনের পাশে কয়েকশত শ্রমিক সমাবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে অনিদিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে। এদিকে, খনি কর্তৃপক্ষ কোন সাংবাদিককে খনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেয়নি ।
পরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান খনির আবাসিক গেটে এসে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩ মাস থেকে কয়েকদফা পত্র দিয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী শ্রমিকদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য আহবান জানানো হয়। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কর্ণপাত না করায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে স্ব স্ব স্থানে অবস্থান করে অনিদিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট শুরু করার ঘোষনা দেওয়া হয়েছিল। সে সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের হস্তক্ষেপে এবং খনি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ৭ জানুয়ারী পর্যন্ত কর্মসুচী স্থগিত করা হয়। সে অনুযায়ী গত শনিবার শ্রমিকদের সাথে আলোচনা বৈঠকের কথা থাকলেও খনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বেলা ১.১০ মিনিট থেকে অনিদিষ্টকালের অবস্থান ধর্মঘট শুরু করা হয় বলে আবু সুফিয়ান জানান।
এ ব্যাপারে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগযোগের চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না করায় কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top