সকল মেনু

অর্থ তসরুপের অভিযোগে মামলা

downloadগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :গোপালগঞ্জে অফিসের গুরুত্বপূর্ন ফাইল গায়েব ও সরকারী অর্থ তসরুপের অভিযোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও ভ’মি অধিগ্রহন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শাহরিয়ার মতিনের (১৬৩২৪) বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছেন ওই শাখার উচ্চমান সহকারী মোঃ ফিরোজ মাহমুদ মুন্সী। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ( মামলা নং-৪৪, ধারা ৩৮১। )

মামলার বিবরনে জানাগেছে, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারী থেকে ২০ মে পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শাহরিয়ার মতিন ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তার দ্বায়িত্বে থাকাকালীন ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরনের অর্থ প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র, সিসি ভাউচার, এওয়ার্ড বই, চেকবইসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিজ জিম্মায় রাখতেন। ওই সময় তার কাছ থেকে ফাইল চেয়ে নিয়ে কাজ শেষ করে, তা তাকে আবার ফেরৎ দিতে হতো কর্মচারীদের। গত ২০ মে তিনি ওই পদ থেকে তার দ্বায়িত্ব হস্তান্তরের সময় প্রায় ৭৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫’শ ৬৫ টাকা ১০ পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত সিসি ভাউচার, এওয়ার্ড বই, চেকবইসহ নথি বা ওই টাকার হিসাব দিতে পারেননি। এছাড়া মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, মোঃ শাহরিয়ার মতিন গোপালগঞ্জে তার অপকর্ম ধামাচাপা দেয়ার জন্য ৪ টি গুরুত্বপূর্ণ নথিসহ অর্থ তসরুপ করেন।

এর আগে সহকারি কমিশনার ও ভ’মি অধিগ্রহন কর্মকর্তা শাহরিয়ার মতিন ও সার্ভেয়ার ইসমাইলের বিরুদ্ধে ভ’মি অধিগ্রহনের বিল প্রদানে দুই কোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠে খোদ জেলা প্রশাসনের মধ্যে থেকে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাসও ওই দু’জনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে বলেন, ওই কর্মকর্তা তার অপকর্ম ঢাকতে ও সমালোচনা এড়াতে গত ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে টুঙ্গিপাড়ার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের দিয়ে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাস্তবায়নের দাবীতে মানববন্ধান করতে ইন্ধন যোগান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন বলেন, সে যে কাজ করেছে তা জঘন্য ও গুরুতর অপরাধ। তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত বিভাগীয় একটি মামলা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top