সকল মেনু

কে হচ্ছেন নাসিক মেয়র?

11-18হটনিউজ২৪বিডি.কম : নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টানা ১৫ দিন নির্বাচনী প্রচারনা শেষে নির্বাচনের কৌশল নির্ধারনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ইতিমধ্যে, ব্যালট পেপার, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ২২ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাবের ৮১টি টিম, ৭২টি মোবাইল টিমসহ ৮ হাজার পুলিশ, আনসার, কোস্ট গার্ড ও শিল্প পুলিশ স্বস্ব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ১৭৪টি কেন্দ্রে ৪লাখ ৭৯হাজার ৩৯২জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করবেন।

নারায়ণগঞ্জের নাসিক নির্বাচনী এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ এর পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি টহল দিয়ে চলছে। স্পর্শকাতর কেন্দ্র গুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার নরুজ্জামান তালুকদার জানান, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসাদের প্রশিক্ষণসহ আইনশৃংখলা বাহিনী মাঠে নেমেছে। সকল প্রকার বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিদের জিঙ্গাসাবাদ সহ তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

নির্বাচন সম্পর্কে সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় পর্যায়ের এ নির্বাচনটি এবার দলীয় প্রতীকে হওয়ায় জাতীয় রাজনীতির প্রভাব পড়লেও তিন শ্রেনীর ভোটেই বদলে যাবে ফলাফলের চিত্র সেটাই মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, নারী ভোটার, নতুর ভোটার ও সংখ্যালঘু ভোটারদের উপর নির্ভর করবে জয় পরাজয়। এদের ভোটেই র্নিধারিত হবে নগরভবনে কে বসবেন। নারায়নগঞ্জ সিটি র্কপোরেশনে এবার নগর মাতা না নগর পিতা বসবে এ নিয়ে চলছে জলপনা কল্পনা আর তিন শ্রেণীর ভোটার এবার শুধু দলীয় প্রতীক না বরং সেই সঙ্গে ব্যক্তি ইমেজকেই প্রাধান্য দিয়েই ব্যালটে সিল দিবে। অন্যদিকে তরুণ ভোটাররাও বলছেন প্রথম ভোটটি এবার তারা খুব ভেবে চিন্তে দিবেন।

২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৪ হাজার ১৮৯ জন। এর মধ্যে ভোট পড়ে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫৯৩টি। প্রদত্ত ভোটের হিসেবে শতকরা ৬৯ দশমিক ৯২ ভাগ ভোট পড়ে। ভোটের মধ্যে ৬ হাজার ২৬৪ টি ভোট বাতিল হয়ে। বৈধ ভোটের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩২৯। ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৬ প্রার্থীর মধ্যে শামীম ওসমান (দেয়াল ঘড়ি) ৭৮ হাজার ৭০৫, সেলিনা হায়াৎ আইভী (দোয়াত কলম) ১ লাখ ৮০ হাজার ৪৮ ভোট পান।

নির্বাচনে ভোটে ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯। এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ৭০ হাজার ৭৪২ জন। যার মধ্যে শহরে প্রায় ২৪ হাজার, সিদ্ধিরগঞ্জে প্রায় ৩২ হাজার এবং বন্দরে ১৬ হাজার নতুন ভোটার।

এবারের নির্বাচনে গত ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিনরাত চলছে গণসংযোগ ও প্রচারণা। সেখানেই প্রার্থীরা দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যে গত কয়েকদিন প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারণায় দেখা গেছে ভোট প্রার্থনার নানা চিত্র। এর মধ্যে আইভীকে দেখা গেছে নারীদের সান্নিধ্যে একটু বেশীই যেতে। তাঁর প্রচারণায় দেখা মিলেছে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষকেও। তরুণদের মধ্যেও আইভীকে নিয়ে রয়েছে আগ্রহ। দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া আইভী যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই নারীদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে কিংবা ফুলের নৌকা আর তোড়া দিয়ে আইভীকে স্বাগত জানাতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে পিছিয়ে ছিলেন না সাখাওয়াত। নারীদের কম পেলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়েই সড়ক মহাসড়ক সহ চেষ্টা করেছেন অলিগলিতে যেতে। স্থাানীয় নেতাদের নিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ওয়ার্ডে যান তিনি। সাখাওয়াতের পক্ষে তরুণদের নিয়ে গড়া ছাত্রদলের প্রচুর নেতাকর্মীদের দেখা মিলেছে যারা ভোটারদের দুয়ারে গিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top