সকল মেনু

‘কমান্ডার’ হত্যায় ইসরায়েলকে দায়ী করছে হামাস

300e02db7cee538f0b59061608bc8f75-5855f94da5135আন্তর্জাতিক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের ‘কমান্ডার’ মোহাম্মদ আল-জাওয়ারি তিউনিশিয়ায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। হামাস এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তেল আবিবকে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

হত্যাকাণ্ডের শিকার মোহাম্মদ আল-জাওয়ারি ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করছিলেন। ৪৯ বছর বয়সী ওই বিমান প্রযুক্তিবিদ মাত্র কয়েকদিন আগেই তিউনিশিয়া গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী তিউনিস থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরের উপকূলীয় শহর সফক্সে তার বাসস্থানের সামনে একাধিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন জাওয়ারি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে বলা হয়, জাওয়ারি একটি কালো ভক্সওয়াগনে বসা ছিলেন। গুলিতে গাড়িটির জানালার কাঁচ ভাঙা ছিল।

তিউনিশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলায় চারটি ভাড়া করা গাড়ি এবং দুটি পিস্তল ব্যবহৃত হয়েছে। হামলাকারীদের আটক করা হয়েছে।

সফক্স থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুরাদ তুর্কি তিউনিশিয়ার শেমস এফএম রেডিও-কে জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আট তিউনিশীয় নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মুরাদ তুর্কি আরও বলেন, সন্দেহভাজনদের তালিকায় রয়েছেন ক্যামেরাম্যানসহ এক হাঙ্গেরিভিত্তিক তিনিশীয় সাংবাদিক। তালিকায় আরও রয়েছেন বেলজিয়াম ও মরক্কোর একজন করে নাগরিক। তবে তিউনিশিয়ার পক্ষ থেকে এই হামলার পেছনে তকার হাত রয়েছে, এ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

হামাসের পক্ষ থেকে জাওয়ারি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, গত ১০ বছর ধরে জাওয়ারি হামাসের সঙ্গে যুক্ত এবং সংগঠনটির ড্রোন বিষয়ক গবেষণা প্রধান হিসেবে জাওয়ারি কাজ করছিলেন।

হামাস জাওয়ারি হত্যার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তিউনিশিয়ায় কমান্ডার মোহাম্মদ আল-জাওয়ারির হত্যাকাণ্ড আরব ও মুসলিম বিশ্বকে আবারও স্মরণ করিয়ে দেয় যে, জায়নবাদী শত্রু এবং তাদের অনুচররা পাশেই মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের নোংরা খেলা খেলে যাচ্ছে।

হামাসের সশস্ত্র উইং আল-কাসাম ব্রিগেড তাদের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে জাওয়ারিকে ‘কমান্ডার’ উল্লেখ করে একটি পোস্টারও পোস্ট করেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি মন্ত্রী তাচি হানেবি দেশটির প্রখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানকে বলেন, আমি আশা করি, এই ইস্যুটি আমাদের ওপর আরোপ করা হবে না। তা আমাদের সঙ্গে জড়িত নয়, আর যেসব মানুষকে আটক করা হয়েছে, তাদের কারও সঙ্গে আমাদের কোনও সংযোগ নেই।’ তাচি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত।

১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনের জ্যেষ্ঠ ‘কমান্ডার’ আবু জিহাদ হত্যাকাণ্ডের সময়েও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে। তার আসল নাম খলিল আল-ওয়াজির। তাকেও তিউনিশিয়ায় হত্যা করা হয়। তখন ওয়াজির ছিলেন ফিলিস্তিনের প্রধান ইয়াসির আরাফাতের প্রধান সহযোগী।
ধারণা করা হয়, ২০১০ সালে হামাস নেতা মাহমুদ আল-মাবহুকে দুবাইয়ে একটি হোটেলে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র: আল-জাজিরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top