সকল মেনু

৭ খুন মামলার বাদী বিউটির নিরাপত্তা দাবি

0a9d85c1580ff3f389fb28747ef07d2d-5855d4a047ef5হটনিউজ২৪বিডি.কম : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের স্ত্রী ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সেলিনা ইসলাম বিউটি নিজের নিরাপত্তা দাবি করেছেন। বিউটির অভিযোগ, নির্বাচন থেকে সরে যেতেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি ওই আলোচিত ৭ খুন মামলার বাদী।

শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের ২নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়াস্থ বুকস গার্ডেনে সংবাদ সম্মেলনে হুমকির কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী বিউটি। তাকে চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বিউটির অভিযোগ, ‘১৪ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর পোস্ট অফিস থেকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে আমাকে মামলার রায় (সেভেন মার্ডার মামলা) ও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি প্রদান করা হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তুই ঈগল দেখসস, ঈগলের থাবা দেখস নাই। তুই ভাবসস আমার ভাইয়ের ফাঁসি হবে। কিন্তু তোর এই মামলায় ভাইয়ের কিছু করতে পারবি না। ভাই আবার বেরিয়ে আসবে। মামলা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করিস না। ইলেকশন নিয়ে আর লাফালাফি করিস না। এতে তোর ভালো হবে। নইলে নজরুলের মতো তোর পরিণতিও একই হবে।’ ওই চিঠির পর তিনি ১৫ ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি (নং-৬৫৯) করেছেন।

বিউটি অভিযোগ করেন, “একটি কুচক্রী মহল আমার নির্বাচনি পোস্টার ছিড়ে ফেলছে। ৭ খুন মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রাজুর নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ দল আমার কর্মীদের প্রকাশ্য ও পরোক্ষভাবে মামলার ভয়ভীতি ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। ‘আমার বাবা সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বিএনপির রাজনীতি করেন’ এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে এবং আমাদেরকে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে স্ট্যান্টবাজি করছেন। আমার স্বামীকে এই জঘন্য সন্ত্রাসীরা যেভাবে হত্যা করেছে, সেভাবে যেন আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনদের হত্যা করতে না পারে, সেজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন বিউটি। নির্বাচনে তার ওয়ার্ডের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া ও আনন্দলোক স্কুল ঝুঁকিপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিউটির বাবা সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, ভাই শফিকুল ইসলাম, ছেলে তারিকুল ইসলাম নাঈম, চাচা কেরামত প্রমুখ।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি সরাফত উল্লাহ জানান, হুমকির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি ৭ খুন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top