সকল মেনু

বিজয় দিবসের পতাকা নিয়ে ফরিদপুর থেকে দিনাজপুরে মাহাবুব

unnamedমোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: বাঙালীর জাতীয় জীবনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন আছে, যার জন্য দেশপ্রেম আঞ্চলিক সীমানা পেরিয়ে বাঁধভাঙ্গা জোয়ার হয়ে দেখা দেয়। জাতীয় পতাকা হয়ে ওঠে ঐক্যের প্রতীক, আবেগের বহির্প্রকাশ। আর এই জাতীয় পতাকা বিক্রিতা সিটিভি পতাকা মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে দিতে কেউ কেউ পরিভ্রমণ করেন মাইলের পর মাইল। এ যেন আত্মার টান।

স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর শুরু হলেই আমি চলে আসি ফরিদপুর থেকে দিনাজপুর।এরপর দিনাজপুর,চিরিরবন্দর,ফুলবাড়ি,বিরল,কাহারোল,খানসামা সহ পুরো দিনাজপুর শেষ করে,নীলফামারী ঠাঁকুরগাও,পঞ্চগড় জেলায় যাই শুধু জাতীয় পতাকা ও ব্যান্ড বেজ বিক্রি করতে।বছরের অন্য সময় মানুষের দোকানে থাকলেও এ মাসটিতে সব কাজ বন্ধ রেখে স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে আমার নিকট ভালো লাগে একথা গুলো বলছিলেন, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার হামিদি ইউনিয়নের মহেশিউদ্দিন গ্রামের মো:মাহামুব হোসেন (২০)।

মাহাবুব জানান, পরিবারে মাকে নিয়ে তার সংসার। ছোট দুই ভাইও রয়েছে তার। ছোট বেলা থেকেই সে মানুষের দোকানে কাজ করে ।দরিদ্রতার কারনে লেখাপড়া টিকমত করতে পারেনি মাহামুব। এই অল্প বয়সে তাকে নিতে হয়েছে সংসারের হাল।বছরের ১১ মাস ১০ দিন মানুষের দোকানে থাকলেও মাহাবুব স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর আসলেই জাতীয় পতাকা ,রাবার ও ব্যান্ড বেজ নিয়ে চলে আসে দিনাজপুর। দিনাজপুর শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে পৌছে দেয় জাতীয় পতাকা, রাবার ও ব্যান্ড বেজ।

সে আরো জানায় আমার এলাকার অনেক মানুষ আজ এ পেশায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। সকলেই বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় পতাকা বিক্রি করে রাতে নীলমারীর সৈয়দপুরে শহরে এক জায়গায় হই। পরে রাতে সবাই একটি রুম নিয়ে রাত্রীযাপন করে ভোর বেলায় আবারো বের হই জাতীয় পতাকা বিক্রি করতে।

এভাবেই চলবে ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত। সব মিলিয়ে স্বাধীনতার মাস ডিসেম্বর শুরু হলেই চিরিরবন্দর সহ  পুরো জেলায় ভ্রাম্যমান রাস্তায় চলে বিজয় দিবসের জাতীয় পতাকা বিক্রি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top