সকল মেনু

এখনও আলেপ্পো ছাড়তে পারেনি শহরবাসী, বিদ্রোহীরা গুণছেন মৃত্যুর প্রহর

1f1a9a0191078e83d304ca3f2165c651-5850fb565018cআন্তর্জাতিক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : সন্ধ্যে নেমেছে যুদ্ধের অভিঘাতে প্রাণ হারানো শহর আলেপ্পোতে। তবে এখনও শহর ছাড়তে পারেনি হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ। শহর ছেড়ে যেতে পারেনি বিদ্রোহীরাও। আলেপ্পোতে যুদ্ধের অবসান হওয়ার পর বেসামরিক নাগরিক ও বিদ্রোহীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা জানানো হলেও এখনও শহর ছাড়তে পারেনি কেউ। সিরিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, শহরে সন্ধ্যা নেমে আসার পরও কেউ আলেপ্পো ছাড়তে পারেনি। এতে জীবনের আহ্বানে আকুল আলেপ্পোবাসীর মনে দেখা দিয়েছে স্বপ্নভঙ্গের আশঙ্কা।

সিরিয়ার সামরিক সূত্র এবং বিদ্রোহী পক্ষের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পর সেখান থেকে বিদ্রোহী ও বেসামরিকদের সরে যাওয়ার প্রশ্নে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর একটি নুরেদ্দিন আল জিনকির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলা হয়, ‘আলেপ্পোর বাসিন্দা, বেসামরিক নাগরিক এবং যোদ্ধাদেরকে তাদের হালকা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব আলেপ্পো থেকে সরে যাওয়ার জন্য একটি সমঝোতা হয়েছে।’ রাশিয়া ও তুরস্কের পৃষ্ঠপোষকতায় সমঝোতাটি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সমঝোতা চুক্তি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে’।

এদিকে তুরস্কের সরকারি সূত্র এবং বিদ্রোহীদের সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানও একইভাবে চুক্তি সম্পন্নের কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সিরিয়ার এক সেনা সূত্রের বরাতে এ সমঝোতার খবর নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৫টা থেকে এলাকা ফাঁকা করার চুক্তিটি কার্যকর শুরু হবে বলেও জানিয়েছে তারা।

তবে চুক্তি কার্যকরের প্রতিশ্রুত সময় পার হওয়ার অনেক পরেও এখনও আলেপ্পো থেকে একজন মানুষও সরে যেতে সমর্থ হয়নি। গার্ডিয়ানের তাদের খবরে নিশ্চিত করেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৫টা থেকে শহরবাসীর আলেপ্পো ত্যাগের কথা থাকলেও এর দেড় ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কেউ শহর ছেড়ে যেতে পারেনি।

উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) আলেপ্পোর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয় সরকারি বাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতিসংঘের নিয়োজিত রাশিয়ার দূত ভিটালি চারকিন ঘোষণা দেন যে পূর্ব আলেপ্পোতে সকল সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে এবং সরকার ওই এলাকার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তবে নিজেদের সর্বশেষ ঘাঁটিতে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জন্য বিদ্রোহীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে কিনা এবং ওই অবস্থায় এলাকায় আটকে থাকা হাজারো বেসামরিকের পরিণতি কী হবে তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। এরপরও বেসামরিক নাগরিক ও বিদ্রোহীদের শহর ত্যাগ নিশ্চিত করতে দুই পক্ষের চুক্তির কথা জানা যায়। তারপর থেকে খেন পর্যন্ত কেউ শহর ছাড়তে না পারায় উদ্বিগ্ন বিদ্রোহীরা এখন নিপীড়ন আর মৃত্যু শঙ্কায় দিশেহারা সময় পার করছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top