সকল মেনু

রাগীব আলী ও তার ছেলের জালিয়াতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

096186370c9f2a0366b129bca6a0b54e-57aac7e26c2d4হটনিউজ২৪বিডি.কম : সিলেটে রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেটের মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক মো. সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। তবে এ মামলার পরবর্তী তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি।

আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মাহফুজুর রহমান হটনিউজ২৪বিডিকে জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই দুজনই আসামি। মামলায় মোট সাক্ষী ছিলেন ১৪ জন। এর আগে কয়েকটি তারিখে ১২ জনের এবং মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) এ মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর রবিবার জালিয়াতির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের পরিদর্শক দেওয়ান আবুল হোসেন, সিলেটের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক এস এম ফয়সল আলম, প্রাক্তন সচিব এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসনের কর্মচারী শাহনাজ পারভিন, শরাফ উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম ও মদনমোহন কলেজের হিসাব রক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা অরিন্দম দত্ত সাক্ষ্য দেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নগরের পাঠানটুলার উপকণ্ঠে ৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার তারাপুর চা-বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। ১৯৯০ সালে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে বাগানটির দখল নেন রাগীব আলী। সেখানে তিনি তার স্ত্রীর নামে মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং কলেজ স্থাপন করেন। হাসপাতাল এলাকার আশপাশের চা-বাগানের জায়গা বিক্রি করা হলে ৭১৫টি প্লটে বাড়ি স্থাপন হয়।

দোবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে সংসদীয় তদন্ত কমিটির পরামর্শে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলা দুটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।

গত ১৯ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের একটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে রায় দেন। রায়ের ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে ওই দুটি মামলা সক্রিয় করতে বলা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারি কৌঁসুলির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম মামলা দুটি তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। ১০ জুলাই পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১২ আগস্ট আদালত থেকে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে ওই দিনই পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জ চলে যান রাগীব আলী ও তার ছেলে।

গত ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন রাগীব আলী। ওই দিনই তাকে দেশে পাঠানো হলে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে ১২ নভেম্বর ভারত থেকে জকিগঞ্জ ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরার সময় আবদুল হাই গ্রেফতার হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top