সকল মেনু

বিধ্বংসী ওয়ার্নারে হোয়াইটওয়াশ নিউজিল্যান্ড

3ba1259d266fb13c726c140d4dfafce9-584a9fc574711খেলা ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : ওয়ার্নার মাঠে নামছেই যেন সেঞ্চুরির জন্য। সবশেষ ছয় ম্যাচে তিনি পেয়েছেন চারটি সেঞ্চুরি। যার শেষটি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্র্যাউন্ডে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে তুলল ২৬৪ রান, যার ১৫৬ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে।

শেষবার এই লজ্জার পড়েছিল নিউজিল্যান্ড ২০১৩ সালে। বাংলাদেশের বিপক্ষে যে সিরিজটা হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা ৩-০ ব্যবধানে। তিন বছর পর তাদের সেই একই লজ্জায় ডুবালেন ডেভিড ওয়ার্নার। এই ওপেনারের বিধ্বংসী ইনিংসেই ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। ওয়ার্নারের ১৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরে জমা করা ২৬৪ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৩৬.১ ওভারে গুটিয়ে যায় ১৪৭ রানে। ১১৭ রানের এই জয়ে ওয়ানডেতে ২০১৬ সালটা দারুণভাবে শেষ করল স্বাগতিকরা।

থামানোই যাচ্ছে না ওয়ার্নারকে। ২০১৬ সালে এই ওপেনারের ব্যাটে ঝরেছে আগুনের গোলা। মাঠে নামছেই যেন সেঞ্চুরির জন্য। সবশেষ ছয় ম্যাচে তিনি পেয়েছেন চারটি সেঞ্চুরি। যার শেষটি মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্র্যাউন্ডে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে তুলল ২৬৪ রান, যার ১৫৬ রানই এসেছে তার ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ১২৮ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেন ১৩ চার ও ৪ ছক্কায়। বিধ্বংসী এই ইনিংস দিয়ে পুরনো অনেক রেকর্ড নতুন করে লিখেছেন ওয়ার্নার। মেলবোর্নের মাঠ দিয়ে চলতি বছরে ওয়ার্নার পেয়েছেন সপ্তম সেঞ্চুরি, যা এক বর্ষপঞ্জিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই তালিকায় সবার ওপরের নামটা শচীন টেন্ডুলকারের। ১৯৯৮ সালে এক বর্ষপঞ্জিকায় ৯টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতীয় ব্যাটিং জিনিয়াস। ওয়ার্নারের মতো ৭ সেঞ্চুরি করেছেন সৌরভ গাঙ্গুলিও ২০০০ সালে। তবে একটা জায়গায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার এই দুই ভারতীয় ব্যাটসম্যানকেও ছাড়িয়ে। টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলি যেখানে খেলেছিলেন ৩০টির বেশি ম্যাচ, সেখানে ওয়ার্নার ২০১৬ সালে খেলছেন মাত্র ২৩ ম্যাচ।

ওয়ার্নারের ইনিংসটি বাদ দিলে কিউই বোলাররা সফল। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ট্রেভিস হেডের। ৩৭ রান করে এই ব্যাটসম্যান আউট হন মিচেল স্যান্টনারের বলে। ২ উইকেট পাওয়া নিউজিল্যান্ড স্পিনারের অন্য শিকারটি ম্যাথু ওয়েড (১৪)। কিউইদের সফল বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ (৩), স্টিভেন স্মিথ (০) ও জেমস ফকনারকে (১৩) আউট করে।

২৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড ওয়ার্নারের রানটাই করতে পারেনি। মিচেল স্টার্ক-প্যাট কামিন্সদের পেস আগুনে পুড়ে অলআউট ১৪৭ রানে। সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকে। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গে ৪৪ রান যোগ করার পথে টম ল্যাথাম করেছেন ২৮ রান। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা যোগ দিয়েছেন উইকেট হারানোর মিছিলে। কেন উইলিয়ামসন (১৩), হেনরি নিকোলস (৩), কলিন মুনরো (২০), বিজে ওয়াটলিং (৮) কেউই পারেননি দাঁড়াতে। যার ফল বাংলাদেশের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। ক্রিকইনফো

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ২৬৪/৮ (ওয়ার্নার ১৫৬, হেড ৩৭, বেইলি ২৩; বোল্ট ৩/৪৯, স্যান্টনার ২/৪৩)।

নিউজিল্যান্ড : ৩৬.১ ওভারে ১৪৭ (গাপটিল ৩৪, ল্যাথাম ২৮, মুনরো ২০; স্টার্ক ৩/৩৪, কামিন্স ২/২৬)।

ফল : অস্ট্রেলিয়া ১১৭ রানে জয়ী।

সিরিজ : ৩ ম্যাচের সিরিজ অস্ট্রেলিয়া ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : ডেভিড ওয়ার্নার।

প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ : ডেভিড ওয়ার্নার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top