সকল মেনু

এখনও অরক্ষিত কমলগঞ্জের ৫টি বধ্যভূমি

e9aa8282b6f37f0aeff7d45e4784963f-5846991c5684cহটনিউজ২৪বিডি.কম : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ৬টি বধ্যভূমির মধ্যে ১টিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করলেও বাকি ৫টি বধ্যভূমির সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারি অবহেলায় অরক্ষিত এই ৫টি বধ্যভূমি জঙ্গলে আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী সারা দেশের মতো কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্নস্থানেও নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। পাকবাহিনী লোকজনকে ধরে এনে এই উপজেলার কয়েকটি স্থানে নির্বিচারে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখে। দেশ স্বাধীনের ২৪ বছর পর ১৯৯৫ সনে বাংলাদেশ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল মৌলভীবাজার জেলায় ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে ৮টি বধ্যভূমি বাছাই করেন। এর মধ্যে কমলগঞ্জের শমসেরনগর বধ্যভূমিকে চিহ্নিত করা হয় সংস্কার সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে চিহ্নিত এই বধ্যভূমির স্থান সংরক্ষণ ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৭ সালে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মিত হলেও এই উপজেলার দেওড়াছড়া, প্রতাপী, চৈত্রঘাট, ছয়ছিরি ও আদিয়া বধ্যভূমিকে চিহ্নিত ও বাছাই করা হয়নি। তেমনি সংরক্ষণ এবং স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব স্থানে বাঙালিদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছিল পাক হানাদাররা। সবচেয়ে বেশি গণহত্যা চালিয়েছিল কমলগঞ্জের দেওড়াছড়ায়। একই দিনে সেখানে গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন ৭০ জন চা শ্রমিক। ঐ স্থানে তাদের স্মৃতিরক্ষার জন্য এখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

কমলগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রফিকুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ও সরকারের কাছে আহ্বান করবো যাতে এসব বধ্যভূমি অচিরেই সংরক্ষণ করা হয়।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top